শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটার বিকল্প নেই। বেশ কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, শুধু হেঁটেই কঠিন রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। তবে এক্ষেত্রে আপনি কতক্ষণ হাঁটছেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ওজন কমানোর সঙ্গে ১০ হাজার কদম হাঁটার একটি তত্ত্ব কমবেশি সবাই জানেন, আবার অনেকে মানারও চেষ্টা করেন।
নেচার মেডিসিনে প্রকাশিত এক নতুন গবেষণায় দিনে ১০ হাজার ধাপ হাঁটার দাবির সত্যতা দাবি করেছে।
গবেষণায় ৬ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী যুক্ত ছিলেন, যার মধ্যে ৭৩ শতাংশই নারী।
অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৫৬.৭ ও শরীরের ভর সূচক প্রতি মিটার বর্গক্ষেত্রে ২৮.১ কেজি ছিল।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন যারা ১০ হাজার কদম হেঁটেছেন তাদের বেশিরভাগই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, জিইআরডি, এমডিডি, স্থূলতা, স্লিপ অ্যাপনিয়াসহ বেশ কয়েকটি সাধারণ, দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমেছে।
গবেষকরা দেখেছেন, যারা প্রতিদিন ৮,২০০ কদম হেঁটেছেন তারাও এসব রোগ থেকে ঝুঁকিমুক্ত ছিলেন।
প্রতিদিন কত ধাপ হাঁটা উচিত?
গবেষকরা বলেছেন, একজন ব্যক্তির বিএমআই ২৮ কেজি হলে (তাদের স্থূলত্বের ঝুঁকি ৬৪ শতাংশ) তা কমাতে প্রতিদিন প্রায় ৬-১১ হাজার ধাপ হাঁটাই যথেষ্ট হতে পারে।
এই গবেষণায় কয় কদম হাঁটছেন তার সঙ্গে কতটুকু জোরে হাঁটছেন সেদিকও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে ধীরে হাঁটার চেয়ে মাঝারি থেকে জোরে হেঁটেছেন যারা, তাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কম ছিল।
হাঁটার উপকারিতা কী কী?
>> কার্যকরভাবে ওজন কমায়
>> অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়
>> স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
>> জয়েন্টের ব্যথা উপশম করে
>> ইমিউন ফাংশন উন্নত করে
>> পা ও পেটের পেশিগুলো মজবুত করে
>> ৩০ মিনিটের দ্রুত হাঁটা ১৫০ ক্যালোরি পর্যন্ত বার্ন করে
>> মেজাজ উন্নত করে