প্রচন্ড মাথা ব্যথায় ভুগছেন! জেনে নিন দূর করার কিছু সহজ উপায়

হুটহাট মাথা ব্যথা হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর একবার মাথা ব্যথা হলে তা যেন সহজে ছাড়ে না। এমন অবস্থায় মন দিয়ে কোনো কাজ করাও সম্ভব হয় না। কখনোবা ওষুধ খেয়ে তবেই মাথা ব্যথা দূর করতে হয়। তবে এই পরিস্থিতিতে ওষুধ ছাড়াই আপনাকে আরাম দিতে পারে, এমন কয়েকটি ঘরোয়া সমাধান জেনে নিতে পারেন-

রগের দুই পাশ বা ঘাড়ের কাছটা যদি খানিকক্ষণের জন্য ম্যাসাজ করতে পারেন, তাহলে খুবই ভালো হয়। অনেক সময় স্ট্রেস বা ক্লান্তির কারণেও মাথা ধরে, সে ক্ষেত্রে এই ম্যাসাজ খুব কাজে দেবে। বুড়ো আঙুল আর তর্জনীর ব্যবহার করুন ম্যাসাজ করার সময়, যতক্ষণ না ব্যথা কমছে বৃত্তাকার ম্যাসাজ চালিয়ে যান। বলা হয় যে মাথা ধরার উৎপত্তি হয় আমাদের ব্রেনে। এই ধরনের প্রেশার ব্যথার উৎপত্তিস্থলে গিয়ে কাজ করে।

মাথা ব্যথায় ভুগলে কম আলোয় থাকুন অন্তত খানিকক্ষণের জন্য। দূরে সরে যান কম্পিউটার স্ক্রিন, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনের আলোর বিচ্ছুরণ থেকে। এই সময় একান্ত বাইরে বেরোতে হলে খুব ভালো মানের অ্যান্টি গ্লেয়ার রোদচশমা পরুন।

গরমজলে পা ডুবিয়ে রাখলে যে মাথাব্যথা কমে, এ তথ্য অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেন না। কিন্তু যুক্তিটা হলো, পায়ে বাড়তি উত্তাপের সঞ্চার হলে সেখানে রক্ত ছুটে যায়। ফলে আপনার মস্তিষ্কের রক্তনালীর উপর প্রেশার কমে যায়, কমে মাথাব্যথাও।

মাথাব্যথায় কপালে আর ঘাড়ে গরম সেঁক দিলে অনেকে আরাম বোধ করেন। কারও কারও ক্ষেত্রে কাজে দেয় ঠান্ডা সেঁক। হাত বরফজলে ডুবিয়ে রাখলেও একই ফল পাবেন। ঠান্ডায় রক্তনালীগুলি সঙ্কুচিত হয়ে আপনাকে আরাম দেবে।

কপালে আর রগে এসেনশিয়াল অয়েল, বিশেষ করে ল্যাভেন্ডারের মতো কোনো সুগন্ধি দিয়ে ম্যাসাজ করে দেখতে পারেন। পিপারমিন্ট অয়েলও মাথাব্যথা কমাতে কার্যকর। অফিসে থাকলে রুমালে এসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে ইনহেল করে দেখতে পারেন।

চা বা কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন মাথাব্যথা কমাতে দারুণ কাজে দেয়। তবে যারা খুব ঘন-ঘন কড়া চা-কফি খেতে অভ্যস্ত, তারা এতে তেমন সুবিধে পাবেন না। আদা আর লবঙ্গ দিয়ে কড়া করে কালো চা তৈরি করে খেলেও অনেকে আরাম পান।