আপনিও হতে পারবেন আত্মবিশ্বাসী ও আকর্ষণীয়, জেনেনিন গোপন কিছু কৌশল

আত্মবিশ্বাসী মানুষকে খেয়াল করে দেখেছেন? তারা সারাক্ষণ নিজের আলোতেই ঝলমল করতে থাকে। এ ধরনের মানুষের গঠনমূলক মানসিকতা তাকে অন্যদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। আত্মবিশ্বাস অনায়াসে তার কর্মের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেগুলো সহজেই নজর কাড়ে। আত্মবিশ্বাসী হওয়া কঠিন কিছু নয়। তবে কিছু চর্চা বজায় রাখা জরুরি। যেগুলো আপনার ভেতরে গড়ে তুললে আপনিও হতে পারবেন আত্মবিশ্বাসী ও আকর্ষণীয়-

১. শারীরিক সুস্থতার দিকে মনোযোগ দিন

অনেকেই কাজ, পড়াশোনা কিংবা ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটে শরীরের দিকে খেয়াল রাখেন না। একটা কিছু খেয়ে নিলেই হলো ভেবে প্রতিদিন অপুষ্টিকর খাবার খেয়ে যান, একরাত না ঘুমালে কিছু হয় না ভেবে রাতের পর রাত জেগে থাকেন। এই অভ্যাসগুলো তাদেরকে ভেতর থেকে একটা সময় গুড়িয়ে দেয়। তখন শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তাই যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, নিজের সুস্থতার দিকে আগে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ সুস্থতা না থাকলে বাকি সবকিছু ফিকে হয়ে দাঁড়ায়। সকালে ঘুম থেকে উঠুন, রাতে আগেভাগে ঘুমাতে যান, স্বাস্থ্যকর খাবার খান নিয়ম মেনে, প্রয়োজনীয় শরীরচর্চা করুন। এসবই অভ্যাসী আপনাকে সুস্থ রাখবে। ফলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন সহজেই।

২. বই পড়ুন এবং আপডেট থাকুন

বই পড়া আপনাকে একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিতে পরিণত করতে পারে। এটি আইকিউ বাড়ায় এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করে। বই পড়া আপনাকে জীবনে বড় হতে সাহায্য করবে। ভালোভাবে পড়ার অভ্যাস আপনাকে আত্মবিশ্বাসী, আরও স্পষ্টবাদী এবং আকর্ষণীয় করে তোলে। ধর্মীয় গ্রন্থ, ম্যাগাজিন, ই-বুক এবং সম্পাদকীয় পড়ার অভ্যাস সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা বাড়ায়।

৩. যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করুন

আপনার যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করার দিকে মনোযোগ দিন। যারা জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলতে বা বক্তৃতা করতে পারদর্শী, তাদের অন্যদের তুলনায় স্মার্ট এবং আরও আকর্ষণীয় দেখায়। আপনার যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য টক শো দেখতে পারেন।

৪. বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পরিমার্জিত করুন

আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কিন্তু অনেককিছু প্রকাশ করে। এটি আপনার পরিচয় ফুটিয়ে তোলে অনেকটাই। ব্যক্তিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করে এই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। সুতরাং আরও আত্মবিশ্বাসী হতে চাইলে আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পরিমার্জিত করুন। হাঁটার শৈলী উন্নত করুন এবং এমনকী বসার ভঙ্গির দিকেও খেয়াল রাখুন। কারও সঙ্গে কথা বলার সময় মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ান। তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন।

৫. আশাবাদী হোন

সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করবেন। এটি আপনাকে আশাবাদী রাখবে। অন্যদের থেকে কী পেলাম তা চিন্তা না করে কী দিতে পারলাম তা চিন্তা করুন। এটি আপনাকে কৃতজ্ঞ থাকতেও শেখাবে। প্রগতিশীল জীবনধারার জন্য ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। ইতিবাচক হলে তা আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতেও সাহায্য করবে।