গোটা বিশ্বে প্রতিনিয়তই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যখন কারও ডায়াবেটিস হয়, তখন ওই মানুষের শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। এতে করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবার ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী। এছাড়া আরও অনেক কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা পুরোপুরি সারে না। তবে জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভাসের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
পেয়ারাতে থাকা নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান যেভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে-
১. গ্লাইসোমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম হওয়ায় পেয়ারা ধীরে ধীরে হজম হয়। এতে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজম হতে বেশি সময় নেয়। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়।
৩. ওজন বাড়লে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে, প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে মাত্র ৬৮ ক্যালরি এবং ৮ দশমিক ৯২ গ্রাম প্রাকৃতিক সুগার থাকে। পেয়ারাতে কম পরিমাণে ক্যালরি থাকায় এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৪. পেয়ারাতে সামান্য পরিমাণে সোডিয়াম এবং উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এ কারণে এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে।
৫. কমলার তুলনায় পেয়ারাতে চার গুণ বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। নিয়মিত এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিয়ন্ত্রণেও এটি ভূমিকা রাখে।
এসব ছাড়াও পেয়ারাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী