অনেক নারীর মুখেই অবাঞ্ছিত লোম দেখা যায়। এই সব লোম আড়াল করার জন্য তারা বিভিন্ন রকম বাজারজাত পণ্য ব্যবহার করে থাকেন। বেশিরভাগ নারী ব্লিচ ব্যবহার করেন। কারণ এটি তাদের কাছে নিরাপদ বলে মনে হয়।
এই রাসায়নিক সমৃদ্ধ পণ্যটি ত্বকের ক্ষতি করে। আপনি যদি একটি সহজ এবং সস্তা উপাদান পেতে চান, তাহলে শেভের চেয়ে ভালো আর কিছুই নেই। তবে এই শেভিং সম্পর্কে অনেক মিথ আছে, যা আসলে কোনো ক্ষতি করে না।
আপনি যদি এমনটাই মনে করেন তবে আজকাল বাজারে এমন অনেক রেজার পাওয়া যায়, যার সাহায্যে নির্ভয়ে মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করা যায়। শুধু তাই নয় কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অনেক নারী মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে থ্রেডিং বা ওয়াক্সিং করেন। এটি করা যেতে পারে, তবে কেউ কেউ ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, শেভিং আপনার জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে।
অনেক নারীর মুখেই অবাঞ্ছিত লোম দেখা যায়।
শেভ সম্পর্কিত যতো কথা জানা যায়:
>>অনেকেই বলেন এতে আপনার লোম ঘন হবে। শেভিং লোম দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই দুটির উপর নির্ভর করার কোনো প্রয়োজন নেই।
>>এটি চুল ঘন বা কালো করে না। আপনার রেজার শুধুমাত্র উপর থেকে চুল শেভ করে। এতে কোনো সমস্যা হয় না।
>>কালো বা ঘন চুল আপনার জেনেটিক এবং হরমোনজনিত জীবনধারার উপর নির্ভর করে।
শেভ করার সুবিধা:
>>শেভ করার একটি নয়, অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ব্লিচ একটি রাসায়নিক সমৃদ্ধ পণ্য, যা মুখে লাগালে ফোলাভাব, লালভাব বা ত্বকের অন্যান্য সমস্যা শুরু হতে পারে। তবে, শেভিংয়ের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় না।
>>এটি ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।
>>এর সাহায্যে ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করা যায়।
>>এটা ঠিক এক্সফোলিয়েটরের মত কাজ করে।
>>মৃত কোষের স্তর বা ময়লা ত্বকে জমা হওয়ার পরে কোনও ক্রিম বা পাউডার ভালভাবে শোষণ করতে সক্ষম হয় না। শেভ করার পরে এটি আরও ভাল শোষণ করে।
>>এটি মেকআপ সঠিকভাবে সেট করতে সাহায্য করে।
শেভ করার আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন:
>>রেজার ব্যবহার করার আগে ভালো করে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
>>মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে একটি পরিষ্কার এবং ধারালো রেজার ব্যবহার করুন।
>>সবসময় নিচের দিকে শেভ করুন।
>>শেভ করার আগে মুখে অ্যালোভেরা জেল বা ফেসিয়াল অয়েল লাগান। এর ফলে মসৃণ শেভিং হবে।
আপনি চাইলে এ বিষয়ে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।