মুখের মেদ কমাবে হাসি! দেখেনিন একঝলকে

মুখে মেদ মানেই যে খারাপ তা নয়। কেউ পছন্দ করেন মুখ নির্মেদ রাখতে, কেউ বা পছন্দ করেন উল্টোটা। দুটোই যে যার মতো করে সুন্দর। কিন্তু পছন্দ-অপছন্দের কথা বাদ দিয়ে অন্য একটা কথা বলাই যায়। মুখের বাড়তি মেদের কারণে হাঁ করে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ে। ফলে দাঁত ও মাড়ির সমস্যার ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। তাই শরীরের মতোই মুখে যাতে মেদ না জমে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। এর জন্য মুখের কয়েকটি ব্যায়াম করতে পারেন।

মুখে মেদের পরিমাণ বাড়লে ত্বকের বয়সও কিছুটা বেড়ে যায়। রোজকার খাবারে ভাজাভুজি, বেশি পরিমাণে চিনি আর মাত্রাছাড়া নুন থাকলে মুখে চর্বি জমার আশঙ্কা অনেকটাই বাড়ে। তাই খাবারের ব্যাপারেও খেয়াল রাখা জরুরি।

প্রাণ খোলা হাসি:

চিবুকের সুগঠিত ও নিখুঁত ভাব ফিরে পেতে প্রাণ খোলা হাসির কোনও জুড়ি নেই। মুখ টিপে মাপা হাসি বা জোর করে হাসি নয়, মনের আনন্দে দিনে ৮–১০ বার হাসলে গলার মেদও কমবে।

ফেস লিফট:

উপরের ঠোঁট ও চিবুক হাত দিয়ে ধরে উপর দিকে তুলে রাখুন। ১০ সেকেন্ড এই ভাবে থাকুন। নিয়ম করে দিনে বার ১০ এই ব্যায়াম করলে মুখে বলিরেখা পড়া অনেকটাই আটকানো যাবে।

চুইংগাম চিবোন:

চুইংগাম চিবোলে মুখের বাড়তি মেদ ঝরে যায়। এতে গালের পেশির ব্যায়াম হবে। চোয়াল তীক্ষ্ণ হবে। তবে চিনি আছে এমন চুইংগাম চিবোলে ডায়াবিটিস জাতীয় সমস্যা বাড়তে পারে। তার চেয়ে চিনিবিহীন গাম চিবোনো ভাল।

ভ্রু কুঁচকানো:

ভ্রু কুঁচকে কথা বলা অনেকেরই পছন্দ নয়। কিন্তু মুখের মেদ কমাতে এর জুড়ি নেই। তর্জনী ও মধ্যমার সাহায্যে ভ্রু উপরে ও নীচে নামাতে হবে। ৩ থেকে ৫ দিনে ১০ বার করতে পারলে মেদ ও বলিরেখা দুই-ই কমবে।

পাউট:

সেলফি তোলার জন্যে নয় মুখের পেশি টানটান সতেজ ও নির্মেদ রাখার অন্যতম হাতিয়ার পাউট বা মাছের মতো ঠোঁট করা। দিনে ৭ থেকে ১০ বার এই ব্যায়ামটি করলে মুখে মেদ জমার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।

RS