ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। না হলে মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে। রক্তচাপ যদিও বিভিন্ন কারণে ওঠানামা করতে পারে ও উভয় ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
যে কোনো ব্যক্তির স্বাভাবিক রক্তচাপ (১২০/৮০এমএম এইচজি) হওয়া উচিত। তবে যদি কারণে রক্তচাপ ৯০/৬০ এমএম এইচজি এর নিচে নেমে যায় তাকে নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশন বলা হয়।
নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেশারের লক্ষণ কী কী?
রক্তচাপ কম থাকলে অনেক সমস্যা হতে পারে। রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণে অস্পষ্ট দৃষ্টি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, অস্থিরতা, বিভ্রান্তি, মনোযোগ দিতে অসুবিধা, বমি বমি ভাবের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
লো প্রেশারের চিকিৎসা কী?
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের অনেক উপায় আছে, যেগুলো আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এ বিষয়ে আয়ুর্বেদ ডা. দীক্ষা ভাবসার নিম্ন রক্তচাপের জন্য সস্তা ও কার্যকরী প্রতিকার সম্পর্কে জানিয়েছেন তার ইনস্টাগ্রামে-
হিমালয় লবণ
এই ডাক্তারের মতে, এক গ্লাস সাধারণ পানিতে আধা চা চামচ হিমালয় লবণ (২.৪ গ্রাম) মিশিয়ে পান করলে দ্রুত নিম্ন রক্তচাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
হিমালয় রক সল্ট পটাশিয়ামের একটি বড় উৎস। এই কারণেই এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। আপনার আশপাশে কারো রক্তচাপ যদি হঠাৎ কমে যায়, তাহলে এই রেসিপি তাৎক্ষণিক উপশম দিতে পারে।
একে হিমালয় বা গোলাপি লবণও বলা হয়। এটি নোনতা ও স্বাদে সামান্য মিষ্টি, প্রভাবে ঠান্ডা ও হজমে হালকা। এটি চর্মরোগের জন্যও কার্যকরী উপাদান হতে পারে।
চিকিত্সকের মতে, নোনতা স্বাদের কারণে, হিমালয় লবণ বাতাসের ভারসাম্য বজায় রাখে ও কফ বের করে দিয়ে বুকের ভিড় দূর করতে সাহায্য করে। কফ থেকেও মুক্তি দেয় এই লবণ।
এই লবণ মেশানো পানি পান করলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায় ও শরীরকে হাইড্রেট করে। পাশাপাশি হারিয়ে যেতে পারে এমন খনিজগুলো পূরণ করতে সহায়তা করে।