যেসব খাবার খাচ্ছেন তা ঠিকভাবে হজম শেষে ঠিকভাবে বের হয়ে না এলে দেখা দেয় সমস্যা। এই সমস্যাকে বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। অর্থাৎ ঠিকভাবে পেট পরিষ্কার না এই সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য এমন এক সমস্যা যাকে শুরুতে কেউ গুরুত্ব দিতে চায় না। কিন্তু এই এক সমস্যার কারণে একে একে বিশটিরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে আপনার শরীরে। এর কারণ হলো, মল শুধু আমাদের খাওয়া খাবার থেকেই বের হয় না, অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও দূষিত পদার্থও থাকে এতে। এসব পদার্থ সঠিক সময়ে, সঠিক নিয়মে শরীরের বাইরে বের হয়ে আসা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি চব্বিশ ঘণ্টায় আমাদের পেট দুইবার পরিষ্কার হওয়া উচিত। তা না হলে কিংবা ২-৩ দিন মলত্যাগ বন্ধ থাকলে তাকে বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। এভাবে যদি চলতে থাকে তবে অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, বুকে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই সমস্যায় ভুগলে শুরুতেই সচেতন না হয়ে পরবর্তীতে অনেক বেশি মাশুল গুনতে হয়। এরপর সুস্থ হওয়ার জন্য গাদাখানেক ওষুধ খেতে হয়। তাতেও পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যায় না। কারণ সাময়িক ফল পাওয়া যায় ঠিকই, সেইসঙ্গে দেখা দিতে পারে আরও অনেক নতুন সমস্যা।
আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে একটানা ওষুধ খেতে থাকেন তবে একটা সময় পর আর শরীর খাবার থেকে ঠিকভাবে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে না। এতে শরীর হয়ে যাবে দুর্বল। এদিকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ফিরে আসবে। তাহলে এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী? পেট যেন নিয়মিত ঠিকভাবে পরিষ্কার হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেজন্য হজম সহায়ক খাবার তো খাবেনই, সেইসঙ্গে মেনে চলতে হবে এমন কিছু ঘরোয়া উপায়, যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
এই উপায় মেনে চললে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে
এক গ্লাস গরম দুধ নিন। আর যদি আপনার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বা দুধ খেতে কোনো সমস্যা থাকে তবে সেক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম জল নিন। এরপর নিতে হবে ইসবগুলের ভুষি। এটি আপনি যেকোনো মুদি দোকানে কিনতে পাবেন। ইসবগুলের ভুষি থেকে এক বা দুই চা চামচ নিয়ে গরম দুধ বা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেয়ে নেবেন। এতে সকালে উঠে আর পেট পরিষ্কার হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। প্রতি রাতে এভাবে পান করলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য। মুক্তি পাবেন অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, বুকে জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা থেকে। সেইসঙ্গে যদি পুরোনো আমাশয়ের সমস্যা, তা থেকেও মুক্তি পাবেন।