মানসিক চাপ দূর করার জন্য এই নিয়মগুলি অবশ্যই মেনেচলুন! বিস্তারিত জানতে হলে তথ্যটি পড়ুন

মানসিক চাপ বর্তমানে ইঁদুর দৌড়ের জীবনে নিত্যসঙ্গী। অফিসের কাজ হোক কিংবা পড়াশোনার চাপ অথবা পারিবারিক সমস্যা- বিভিন্ন কারণে মানসিক ভাবে সমস্যায় বা অস্থির থাকতে পারেন। মানসিক চাপের থেকে ধীরে ধীরে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। তাই মানসিক চাপ কাটিয়ে ওঠে খুবই প্রয়োজন। সমস্যা বেশি হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তবে সাধারণ ভাবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে এবং রোজ কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনি মানসিক অবসাদ অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। এক্ষেত্রে কী কী করণীয় জেনে নিন।

শরীরচর্চা-নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা করলে এমনিতেও আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন। তার পাশাপাশি যেসব একসারসাইজের মাধ্যমে আপনার মাসল বা পেশী রিল্যাক্স বা শিথিল হবে সেই জাতীয় শরীরচর্চা নিয়মিত অভ্যাস করা প্রয়োজন। এর ফলে মানসিক দিক থেকে অনেকটাই হাল্কা থাকবেন আপনি। এর পাশাপাশি নিয়মিত যোগাসনের অভ্যাস রাখুন।

অ্যারোমা থেরাপি- সুগন্ধ অনেক সময়েই মন ভাল করে দেয়। তাই ঘরে সাজিয়ে রাখতে পারেন সুগন্ধ যুক্ত ফুল। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সুগন্ধী মোমবাতি কিংবা এসেনসিয়াস অয়েল জাতীয় জিনিসও মেন্টাল রিল্যাক্সেশন বা মানসিক চাপ কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। আপনাকে দমবন্ধ পরিবেশ থেকে মুক্তি দেয়। সর্বোপরি এইসব সুগন্ধী জিনিসপত্র মন ভাল করে দেয়।

আঁকা, ডুডল এবং রঙ- বিশেষজ্ঞরা অনেকসময়েই বলে থাকেন রঙ তুলি নিয়ে বসলে মানসিক চাপ কমতে বাধ্য। অর্থাৎ ক্রিয়েটিভ বা শৈল্পিক কোনও কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। সেটা আঁকা হতে পারে। আঁকায় রঙ করাও হতে পারে। কিংবা আপনি মন দিতে পারেন ডুডলিংয়ের ক্ষেত্রেও। এর মাধ্যমে মনঃসংযোগও বাড়ে।

মন যা করতে চায় অর্থাৎ যে কাজ করলে আপনার মনে হচ্ছে আপনি ভাল থাকবেন, মানসিক চাপমুক্ত থাকবেন সেই কাজে অবশ্যই মন দিন। ভাল গান শোনা, ভাল কোনও সিনেমা দেখা বা ভাল বই পড়ার পাশাপাশি যাদের বাগান করার শখ রয়েছে তারা সময় কাটাতে পারেন গাছেদের সঙ্গে। এছাড়াও অনেকেই রান্না করতে ভালবাসেন। খুব মানসিক চাপ থাকলে চটজলদি একটা পদ বানিয়ে নিতে পারেন। রান্নাঘরে গেলে পাকা রাঁধুনিদের মন ভাল হতে বাধ্য। সর্বোপরি নিজেকে ভাল রাখার চেষ্টা করুন এবং অবশ্যই প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।