ফ্রি-তে সরকারি ঘর পেতে কি কি কাগজ লাগবে দেখে নিন এক নজরে!

কেউ গৃহহীন থাকবে না! সবার মাথায় থাকবে ছাদ। এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই প্রতিশ্রুতি রাখার পালা। সকলেই জানি যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গৃহহীন, ছাদহীন মানুষদের কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় সুবিধা দেওয়া হয়। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সিংহাসনে বসার পর মানুষের সুবিধার্থে নানান ধরণের প্রকল্পই বাজারে এনেছে। আর তেমনই একটি প্রকল্প হল ‛বাংলা আবাস যোজনা’।

যে সকল মানুষজন কেন্দ্রের তরফ থেকে বাড়ি পাননি তাদের মাথায় ছাদ করে দেওয়াই এই প্রকল্পের মূল উদেশ্য। কিন্তু কিভাবে এই টাকা পাবেন? আর কত কিস্তিতেই বা পাবেন তা জানেন কি? চলুন আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেসব বিষয়েই বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
যাদের পাকা বাড়ি নেই তারাই একমাত্র এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে যে সমস্ত ব্যক্তির বার্ষিক আয় ১ লাখ টাকার কম তারই একমাত্র এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীর বিপিএল তালিকায় রেশন কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। কোনো সরকারি চাকুরিজীবি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।

জানিয়ে রাখি যে, এই যোজনার আওতায় আবেদনকারীরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে পাবেন। তবে, জানা গিয়েছে যে, আগামীদিনে এই টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে।

কত কিস্তিতে এই টাকা মিলবে?
মূলত তিনটি কিস্তির মাধ্যমে আবেদনকারীরা এই টাকা পাবেন। প্রথম কিস্তিতে পাবেন ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় কিস্তিতে পাবেন ৪০ হাজার টাকা। এরপর বাড়ি সম্পূর্ণ হওয়ার পর তৃতীয় কিস্তির টাকা অর্থাৎ ৩০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।

আবেদনকারীরা চাইলে অনলাইনে অথবা এলাকার বিডিও বা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে এই যোজনায় জন্য আবেদন করতে পারেন।

‘বাংলা আবাস যোজনা’-র জন্য কি কি নথি লাগবে?
এক্ষেত্রে আবেদনকারীর আধার কার্ড, পারিবারিক রেশন কার্ড, বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র, স্থায়ী বাসিন্দার পরিচয় পত্র এবং আবেদনকারীর একটি সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।