ধূমপান ছেড়ে খুশি হওয়ার কিছু নেই, কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন

ধূমপায়ীরা সাবধান! ধূমপান বিষপান- জেনেও যারা প্রতিদিন এটা করে যাচ্ছেন তাদের জন্য নতুন তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়। আগে বলা হতো, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পাঁচ বছর পর থেকেই শরীরে ধূমপানের কুপ্রভাব কমতে থাকে এবং দেহে সেই অর্থে কোনোরকম সমস্যা থাকে না। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ৩০ বছর পরও ভুগতে হবে ধূমপায়ীদের।

আগেই জানা গিয়েছিল, ধূমপানের ফলে ক্ষতি হয় ডিএনএ’র। তবে এতদিন জানা ছিল, ধূমপানের ফলে যে যে সমস্যাগুলি হয়ে থাকে, পাঁচ বছরের মধ্যে তার নিরাময়ও হয়ে যায়।

কিন্তু সম্প্রতি, বস্টনের ‘হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল’ এর পক্ষ থেকে রবি জোহানেস জানিয়েছেন, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরও তা ডিএনএর মাধ্যমে প্রায় ৭০০০ জিনে একটা দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যায়। এর ফলে শরীরে ধূমপানসংক্রান্ত নানা অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখেছেন যে মানবদেহের মলিকিউলার মেশিনারির ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ধূমপান যা প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়

তবে মজার কথা হলো এই যে যখনই কেউ ধূমপান ছেড়ে দেন, ঠিক তার পর পরই শরীরের বেশির ভাগ ডিএনএ মিথাইলেশন সিগন্যাল আবার প্রথমবারের মতোই হয়ে যায় এবং শরীর নিজে নিজেই তামাকের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে আরোগ্য লাভ করার চেষ্টায় থাকে। কিন্তু তার পর আবারও যে ঘুরে আসে ধূমপানের ক্ষতিকারক প্রভাব, তা জানা গেল এই গবেষণা থেকে।

এই গবেষণাপত্রের রচয়িতা স্টেফানি লন্ডন জানিয়েছেন, এই গবেষণার ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ ধূমপানসংক্রান্ত অসুখ শরীরে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে জিনের মিথাইলেশনের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। অর্থাৎ কেউ যদি ধূমপান ছেড়েও দেন, তার ডিএনএতে সেই কু-অভ্যাসের প্রভাব থেকেই যাবে।