কলা কেন বাঁকা হয়? ভেবেছেন কখনও! উত্তর জানতে পারবেন এক্ষনি

কলার মধ্যে অনেক উপকারী উপাদান থাকে যা আমাদের শরীর গঠনের ভূমিকা পালন করে। কলার সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত, কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন কলা বাঁকা হয় কেন? এই জিনিসটি আমরা লক্ষ্য করলেও কখনো গভীরভাবে ভাবি না।

জীব বিদ্যায় বলা হয় যে কোন গাছের ফল বৃদ্ধির পিছনে ফটোট্রপিজম , গ্র্যাভিটিজম ও অক্সিন এই প্রক্রিয়াগুলি নির্ভর করে। তাছাড়া মধ্যাকর্ষণ শক্তি বলে যে কোন জিনিসের আকর্ষণ নিচের দিকে। সেই অনুযায়ী কলাও নিচের দিকে ঝুলে থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে এমনটা দেখা যায় না। কলার কাঁদি নিচের দিকে ঝুলে থাকলেও কলা সেই ঊর্ধ্বমুখী থাকে।

কলা গাছ এমনিতেই ছোট খুব একটা বড় হয় না। তাই কোন বড় গাছের নিচে কলা গাছ বসানো থাকলে সেখানে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পৌঁছয় না। যদি কলাগাছ ফাঁকা জায়গাতেও বসানো থাকে কলা গাছের পাতা সূর্যালোকে ঢেকে রাখে। আর কলা গাছের বাগানে সূর্যালোক তো পৌঁছায় না বললেই চলে। আর এই কলা গাছের ফল বাঁকা হওয়ার পিছনে সূর্যালোক একটি বড় ফ্যাক্টর।

সায়েন্স অনুযায়ী, সূর্যালোক কম পাওয়ার জন্য কলার কুড়ি থেকে ফল জিওট্রপিজম বা গ্র্যাভিটির বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়। একে নেগেটিভ জিওট্রপিজম বলে। অর্থাৎ আমাদের বাড়ির ভিতরে কোন ফুল গাছ বসালে সেটি যেমন সূর্যের দিকে বেঁকে যায়, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় কলা সূর্যমুখি বা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে যায়। কলা বাঁকার আসল ঘটনা এখানেই।

কলা যখন একটু একটু করে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তখন গ্র্যাভিটি প্রক্রিয়ার টানে কলা সামান্য মাটির দিকে বাঁকা হয়ে যায় এবং বাকি ঊর্ধ্বমুখী হয়ে বাড়তে বা মোটা হতে শুরু করে। আর এই টানাটানিতেই বেঁকে যায় কলার আকৃতি ।