অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? যতই সচেতন থাকুক না কেন, ওজন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে? চুল ঝরছে অকালে, ত্বক হয়ে উঠছে জৌলুসহীন। অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে হৃৎস্পন্দন। এই ছোটখাটো শারীরিক সমস্যাগুলো আমরা প্রায়ই এড়িয়ে যাই। অথচ এই প্রত্যেকটা লক্ষণের পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা।
সময় থাকতে থাইরয়েডের চিকিৎসা না করালে, তা বড় আকারও ধারণ করতে পারে। বেশির ভাগ সময়ে নারীরা বেশি আক্রান্ত হলেও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা বহু মানুষের শরীরে দেখা দেয়। থাইরয়েডে সমস্যা থাকলে জীবনযাপন কড়া নিয়মে বেঁধে দেন চিকিৎসকরা। খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে অনেক বিধিনিষেধ।
ওষুধের পাশাপাশি আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে, তুলসি পাতাও থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকর। থাইরয়েডের সমস্যা মূলত দুই ধরনের। হাইপারথাইরয়েডিজম ও হাইপোথাইরয়েডিজম।
হাইপারথাইরয়েডিজমে রক্তে থাইরক্সিন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে রক্তে থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। তুলসি পাতায় এমন গুণ রয়েছে যা থাইরক্সিন হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হাইপারথাইরয়েডিজমে ভুগছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে তুলসি দারুণ উপকারী। তবে হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা আছে এমন রোগীদের তুলসি না খাওয়াই ভালো।
হাইপারথাইরয়েডিজমের রোগীরা যেভাবে তুলসি পাতা খেতে পারেন
>> প্রথমে সামান্য জল দিয়ে দশটি তুলসি পাতা বেটে রস তৈরি করে নিন। এই রসে এক চামচ অ্যালোভেরা রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পানীয় দিনে এক বার খেতে পারলেই থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
>> তুলসির চা পান করলেও এক্ষেত্রে লাভ হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দুধ ছাড়া চায়ে সামান্য পরিমাণে তুলসি মিশিয়ে পান করুন। হাইপারথাইরয়েডিজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।