খাদ্যতালিকায় এই ৫ খাবার রাখলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার থাইরয়েড!

থাইরয়েডের সমস্যা আজকের যুগে ঘরে ঘরে। একবার এর কবলে পড়লে তা থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন! বেশিরভাগ নারীদের মধ্যেই দেখা যায় এই রোগ। তবে এখন পুরুষদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। থাইরয়েড গ্রন্থির অবস্থান গলায়। প্রজাপতি আকৃতির এই গ্রন্থি শরীরে বেশ কয়েকটি হরমোন উৎপন্ন করে, যা আমাদের শরীরের অনেক কার্য পরিচালনা করে। থাইরয়েড গ্রন্থি যখন অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করে তখন তাকে হাইপারথাইরয়েডিজম বলা হয় আর যখন পর্যাপ্ত থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে না তখন তাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে।

অগোছালো জীবনযাত্রা, সঠিক পুষ্টি গ্রহণ না করা, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চার অভাবে খুব অল্প বয়সেই অনেকে থাইরয়েডে আক্রান্ত হয়। তবে আপনার দৈনন্দিন ডায়েটে নির্দিষ্ট কিছু খাবার অন্তর্ভুক্ত করলে, থাইরয়েড থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক –

> নারকেল ফল হিসেবে হোক বা নারকেল তেল, থাইরয়েড রোগীদের জন্য অন্যতম সেরা খাবার এটি। নারকেল মেটাবলিজম বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে MCFAs (medium chain fatty acids) এবং MTCs (Medium chain triglycerides) রয়েছে, উভয়ই মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।

> মুগ ডাল প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ। এগুলোতে ফাইবারও বেশি থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য হল থাইরয়েড ভারসাম্যহীনতার একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। বেশিরভাগ ডালের মতো, মুগ ডালেও আয়োডিন রয়েছে এবং খুব সহজেই হজম হয়। তাই যারা থাইরয়েডে ভুগছেন, তারা ডায়েটে মুগ ডাল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

> কুমড়ার বীজে জিঙ্ক থাকে, যা শরীরের অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ শোষণের পাশাপাশি, থাইরয়েড হরমোনের সমন্বয় ও ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

> থাইরয়েড হরমোনের বিপাকের জন্য শরীরে সেলেনিয়ামের প্রয়োজন পড়ে। সেলেনিয়াম এক প্রকার মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট। T4 থেকে T3 রূপান্তরের জন্য সেলেনিয়াম প্রয়োজন। আর ব্রাজিল নাটস এই পুষ্টির অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস। দিনে মাত্র তিনটি ব্রাজিল নাটস খেলেই, শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং থাইরয়েড মিনারেল সরবরাহ করতে পারে।

> আমলকির গুণাগুণ সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। স্বাস্থ্যের জন্য আমলকি কতটা উপকারি, তা সকলেরই জানা। এই ফলটি সত্যিই সুপারফুডের মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি চুলের জন্যও দারুণ উপকারি আমলকি। চুল পাকা কমায়, খুশকি প্রতিরোধ করে, চুলের ফলিকল শক্তিশালী করে এবং মাথার ত্বকে রক্ত​​সঞ্চালন বাড়ায়, যার ফলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়।