আপনার কি বেশি খিদে পায়? তাহলে কি করবেন জেনেনিন

গর্ভাবস্থায় কী খাবেন? অনেকেই চিন্তায় থাকেন। অনেকের মাথাতেই নিত্য-নতুন খাবারের কথা ঘোরে? খালি মনে হচ্ছে, আজ এটা খাই, কাল ওটা আনবো, পরশু সেটা বানাবো। আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই এতে। গর্ভাবস্থায় হবু মায়ের শরীরে হরমোনের যে খামখেয়ালিপনা চলে, তার কারণে নানারকম খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয়। তবে কর্তার ইচ্ছেতেই সবসময় কর্ম হয় না। তবে গর্ভবতীরা মেনে চলুন এই ৮টি খাদ্যাভ্যাস। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ হোক বা ডিনার, খাবার পাতে রাখুন এখ শাক-সবজি কিংবা খাবারগুলি। দেখবেন মন একেবারে ফুরফুরে হয়ে রয়েছে।

সব ধরনের সবুজ শাক-সবজি খান। যাতে বাচ্চা আর আপনি দুজনেই সবরকম পুষ্টি পেতে পারেন। রোজ ২-৪ রকমের ফল, ৬-৮ রকমের শস্যদানা সেদ্ধ, পাউরুটি, বাদাম রাখুন ব্রেকফাস্ট কিংবা লাঞ্চে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। মাছ, মাংস, ডিম তো মাস্ট প্রোটিনের জন্য! রোজকার পাতে থাকুক দুধ, চিজ, ঘি ইত্যাদিও। তবে চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকাই ভাল।

গ্যাস আর পেটব্যথা এই সময়ে দুটো মোক্ষম সমস্যা। তাই এর হাত থেকে রেহাই পেতে গেলে বেশি করে ফাইবার সমৃদ্ধ জিনিস খান। ফুলকপি, বাধাকপি না খাওয়াই ভাল, এগুলো গ্যাসের উৎস। সজনে ডাটা, পেয়ারা, ন্যাসপাতি এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তবে ফাইবারের জন্য কোনওরকম সাপ্লিমেন্ট নিতে হলে আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা বাঞ্ছনীয়।

গর্ভাবস্থায় শরীরে আয়রনের পরিমাণ ঠিক থাকা দরকার। থোড়, কলা, মোচা, পালংশাক, বিনস, মেটে এগুলো প্রচুর পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান। মনে রাখবেন রোজ আপনার শরীরে ২৭ মিলিগ্রাম আয়রন থাকা মাস্ট!হাড়ের শক্তি ঠিক রাখতে ক্যালসিয়ামও প্রয়োজন। শরীরের ভিতরে যেহেতু সন্তান বড় হচ্ছে, এসময়ে বাচ্চার ওজন এবং আপনার ওজন যথাযথ ধরে রাখতে হাড়ের জয়েন্ট ঠিক রাখা দরকার। তাই দিনে দুধ, বাটার, চিজ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম শরীরে ঢোকা প্রয়োজন। ভিটামিন সি-এর জন্য কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আঙুর, টম্যাটো, লঙ্কা খান।bs