শরীরের কাটা দাগ দূর করার কিছু সহজ উপায় , দেখেনিন

শরীরের বিভিন্ন স্থানের ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক তথা ফাটা দাগ দেখা দিতে পারে বহু কারণে। গর্ভাবস্থায় তলপেট, কোমর, নিতম্বে সবচেয়ে বেশি ফাটা দাগ তৈরি হয়। এছাড়া বাড়তি ওজন ও বয়ঃসন্ধিকালে শরীরের বাড়ন্ত সময়ে ঘাড়, হাত-পা, পিঠসহ বহু স্থানেই চামড়া ফেটে ফাটা দাগ দেখা দেয়।

প্রথমেই জেনে রাখা প্রয়োজন, ত্বকের ফাটা দাগ কখনোই পুরোপুরি দূর হয় না। কারণ একটি স্থানের চামড়া প্রয়োজনের তুলনায় বেশি প্রসারিত হওয়ায় ত্বকের উপরিভাগে ফাটা দাগ তৈরি হয়। এই দাগ সম্পূর্ণভাবে দূর না হলেও কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের ঘরোয়া ব্যবহার ফাটা দাগকে অনেকখানি কমিয়ে আনতে ও হালকা করতে সাহায্য করবে।

অ্যালোভেরা
ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা অনন্য এক উপাদান। বিশেষত ত্বকের পরিচর্যায় অ্যালোভেরার গুরুত্ব ও উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। কারণ এতে থাকা আরামদায়ক উপাদান ও ধর্ম ত্বককে প্রশান্তি এনে দেয়। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টমূলক ধর্ম ত্বকের ক্ষতকে সারিয়ে তুলতে কাজ করে। যা ত্বকের ফাটা দাগকে অনেকখানি হালকা করে আনে। ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা পাতার জেল সরাসরি ফাটা দাগযুক্ত স্থানের উপর ম্যাসাজ করতে হবে ১০ মিনিট। এরপর শুকানো জন্য অপেক্ষা করে কুসুম গরম জলে স্থানটি ধুয়ে নিতে হবে।

শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ
প্রাকৃতিকভাবেই লেবুর রসে থাকা অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকের ফাটা দাগকে কমিয়ে আনতে এবং শসার রসের আরামদায়ক অনুভূতি ত্বকে প্রশান্তি এনে দিতে কাজ করে। ব্যবহারের জন্য সমপরিমাণ শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে ফাটা স্থানে ম্যাসাজ করতে হবে। অন্তত দশ মিনিট অপেক্ষা করে ঠান্ডা জলে স্থানটি ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করে নিতে হবে।

ডিমের সাদা অংশ ও অলিভ অয়েল
ডিমের সাদা অংশে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও প্রোটিন। যা ত্বকের ফাটা দাগকে কমিয়ে আনতে কাজ করে। অন্যদিকে অলিভ অয়েল ত্বককে তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা প্রদান করে কোমল রাখে। যা ফাটা স্থানের ফাটাভাব প্রসারিত হওয়া রোধ করে। ব্যবহারের জন্য দুইটি ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে সমানভাবে অ্যাপ্লাই করতে হবে। স্থানটি শুকিয়ে আসলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজের সময় ত্বকের উপর হালকাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।