রাতে দেরি করে খাবার খাওয়া আমাদের শরীরের হরমোনের ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। রাত ১০টা বা ১১টার পরে খাবার খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা ও অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও, দেরি করে খাওয়া এবং বাইরের তেল-মশলাযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে শরীর ও মনের ক্লান্তি বাড়তে পারে, যা সকালে ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং কাজের প্রতি উৎসাহ কমায়।
রাতের খাবারের সঠিক সময়:
পুষ্টিবিদদের মতে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। যদি কেউ রাত ১১টায় ঘুমাতে যান, তবে অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ রাত ৮টায় খাবার খেয়ে নেওয়া ভালো। এতে হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এবং ঘুমের মান উন্নত হয়।
সুস্থ জীবনযাপনের জন্য টিপস:
-
দুপুরের খাবার: বেলা ১২টার মধ্যে দুপুরের খাবার সেরে নেওয়া উচিত, যাতে রাতের খাবার সময়মতো খেতে অসুবিধা না হয়।
-
খাবারের ধরন: রাতের খাবার হালকা হওয়া উচিত এবং ভারী খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
-
জলপান: খাবারের সঙ্গে জল না খেয়ে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অল্প অল্প করে জল পান করা উচিত, যা হজমে সহায়তা করে এবং ঘুমের মান উন্নত করে।
অনেক সেলিব্রিটি, যেমন অনুষ্কা শর্মা, বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে রাতের খাবার সেরে নেন। তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়ার এই অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং সুস্থ জীবনযাপনে অবদান রাখে।