গ্রীষ্মকালের অন্যতম উপকারী ফল তরমুজ। তরমুজ জাতীয় রসালো ফল শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখে। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে আরও অন্যান্য পুষ্টিগুন। তবে তরমুজের পাশাপাশি তরমুজের বীজও কিন্তু বহুগুণ সম্পন্ন। এতে রয়েছে জিংক, আয়রন, ভিটামিন বি, সি অ্যানিনো অ্যাসিড প্রভৃতি।
শরীরে কোন প্রকার ক্ষতি হলে তা দ্রুততার সাথে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে তরমুজের দানাতে থাকা অ্যামিনো এসিড। এছাড়া তরমুজের বীজে যে পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে, তা শরীরে ইনসুলিনের কার্য পরিচালনা করে। যার ফলে সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে।
যেকোনো রোগীর ক্ষেত্রেই তরমুজের বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর উপকারী। উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যাকে দূর করে তোলে এই বীজ। এছাড়া তরমুজের বীজে থাকা মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড, রক্ত চলাচলে যে পরিমাণ খারাপ কোলেস্টেরল থাকে তা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এর ফলে অনেকেই হয়তো ভাববে, যে কিভাবে তরমুজের বীজ আলাদাভাবে খাওয়া যাবে! এক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়ার সাথে সাথে বীজ মুখে পড়লে তা ফেলে দেবেন না; একই ভাবে ওই ফলের সাথেই চিবিয়ে খান। আপনার শরীরে সঠিক পুষ্টির যোগান দেবে।