একটি সম্পর্ক শুরু হয় বিশ্বাস, ভরসা ও ভালোবাসা নিয়ে। যেকোনো পরিস্থিতিতে একে অন্যের পাশে থাকবে―এই প্রতিজ্ঞা করে একসঙ্গে যাত্রা শুরু করে। সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কখনো কখনো আপনার স্ত্রীর প্রতি বিরক্তি বা অস্বাভাবিক আচরণের কারণে সম্পর্কে মনোমালিন্য হয়। যা আমরা কখনোই প্রত্যাশা করি না।
এই মনোমালিন্য বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে। যদি তার সমাধান না করা হয়, তবে ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে এবং সম্পর্ককে শেষ করে দেয়।
আপনার স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য দূর করার ৫টি উপায়
১. অনুভূতি প্রকাশ করা : দূরত্ব বাড়ার কারণগুলো খুঁজে বের করতে কিছু সময় নিন। নির্দিষ্ট ঘটনা বা কারণ শনাক্ত করুন, যা আপনাদের মাঝে দূরত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সমাধানের জন্য মূল কারণগুলো বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। তারপর দুজনে বসে সমাধান করুন। মনে রাখা উচিত, কেউই নিখুঁত নয়। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু ভুল করে।
সম্পর্ক সুন্দর রাখতে উভয়ের ক্ষমার অভ্যাস করতে হবে।
২. সরাসরি কথা বলা : আপনার অনুভূতি সম্পর্কে স্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। কোনো বিষয় নিয়ে আপনার ক্ষোভ থাকলে শান্ত হয়ে তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তাকে দোষারোপ না করে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন। আপনার বলা শেষ হলে তার কথাও শুনুন।
৩. একসঙ্গে ভালো সময় কাটানো : আপনার সম্পর্ক পুনরায় ঠিক করতে একসঙ্গে ভালো কিছু সময় কাটান। এমন কাজ করুন যা আপনারা উভয়েই উপভোগ করতে পারেন। একসঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত কাটান, যার ফলে সম্পর্ক সুন্দর হয়। সহানুভূতি এবং ক্ষমা অনুশীলন করুন। মনোমালিন্য ভুলে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একসাথে থাকার চেষ্টা করুন।
৪.নিজের যত্নে মনোযোগী হওয়া : শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিজের যত্ন নিন। এমন কাজ করুন যা আপনাকে আনন্দ এবং পরিপূর্ণতা দেয়। যখন নিজের সম্পর্কে ভালো লাগে তখন এটি আপনার সম্পর্কের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্ত্রী এবং আপনার সম্পর্কের ইতিবাচক দিকগুলোর দিকে বেশি মনোযেগ দিতে হবে। আপনার স্ত্রী ভালো কাজ করলে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন এবং বিরক্তির পরিবর্তে প্রশংসার পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।
৫. একসঙ্গে সমাধান করা : যখন সম্পর্কের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়, তখন একে অপরকে দোষারোপ করা উচিত নয়। বরং একসঙ্গে সমাধান করা উচিত। সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। একসঙ্গে পরিকল্পনা করে সমাধান করতে হবে।