টাইপ-২ ডায়াবেটিস হলে খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে। এক্ষেত্রে ঘরে-বাইরে খাবারের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার প্রয়োজন হয়।
ডায়াবেটিস মানেই এই নয়, রোগীর পছন্দের খাবার বাদ দিতে হবে। বরং কিছুটা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লক্ষ্ণৌতে অবস্থিত ‘রিজেন্সি সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল’য়ের অভ্যন্তরীণ মেডিসিন পরামর্শক ডা. ডি.পি সিং বলেন, “সুস্থ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে যতটা সম্ভব বাইরের খাবারের পরিবর্তে ঘরের খাবার প্রাধান্য দেওয়া উচিত।”
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের বাইরের খাবার খেতে কিছু বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
খাবারের পরিমাণে খেয়াল রাখা
ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের পরিমাণের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। রেস্তোরাঁয় বেশি পরিমাণে খাবার পরিবেশন করা হয়। ফলে অধিভোজনের ঝুঁকি থাকে এবং রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ে।
তাই রেস্তোরাতে অল্প খাবার পরিবেশন করতে বলে বাকিটা বাসায় নিয়ে আসাই হবে ভালো পন্থা।
সম্পূর্ণ খাবার পছন্দ করা
সম্পূর্ণ ও অপ্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। চর্বিহীন প্রোটিন উৎস যেমন – গ্রিল্ড চিকেন বা মাছ, শাকসবজি, গোটা শস্য যেমন- বাদামি চাল ও ফল খেতে হবে।
যতটা সম্ভব ভাজা ও ভারী সসে ঢেকে থাকা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেইট পরিমিত খাওয়া
প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট যেমন- সাদা রুটি, সাদা ভাত ও পাস্তা দ্রুত রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়ায় বলে জানায় এই বিশেষজ্ঞ।
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের জটিল শর্করা যেমন- শস্য, সবজি ও ডাল খাবার খাওয়া উচিত। তাই যতটা সম্ভব গোটা শস্য খাওয়া উপকারী।
বাড়তি চিনি এড়িয়ে চলা
অনেক রেস্তোরাঁয় খাবারে বিশেষত মিষ্টান্ন ও মিষ্টি পানীয়তে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা থাকে যা রক্তের শর্করায় ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।
মিষ্টি পানীয় ও মিষ্টান্ন বা মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করলে পরিমিত খাওয়া উচিত।
চর্বি গ্রহণে সতর্কতা
স্বাস্থ্যকর চর্বি দেহের জন্য অপরিহার্য। তবে রেস্তোরাঁর খাবারে অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন- ট্রান্স ফ্যাট বা স্যাচুরেইটেড চর্বি থাকতে পারে।
এই চর্বি হৃদস্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব রাখে।
স্বাস্থ্যকর রান্না পদ্ধতি যেমন- গ্রিলিং, ভাপানো বা বেইকি করা খাবার বাছাই করতে হবে। আর অস্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন- মাখন ও হাইড্রোজেনেটেড চর্বির পরিবর্তে অপরিশোধিত চর্বি যেমন- জলপাইয়ের তেল বাছাই করা উপকারী।