Cultivation tips : আমিষ রান্নাকে সুস্বাদু করে তোলার জন্য রসুনের জুড়ি মেলা ভার। পেঁয়াজ-আদার সাথে এক অভূতপূর্ব সম্পর্ক রয়েছে এই সবজির। আবার রসুনকে নাকি মিশর, গ্রীস, রোমে ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করত। নানান রোগ-ব্যাধি সারাতেও এই সবজি সাহায্য করে। তবে মসলা বলেই অধিক আখ্যায়িত করা হয় রসুনকে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে রসুন অনেকাংশে কাজ করে। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে যাবেন, কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে বাড়িতে রসুন উৎপাদন করা যাবে (Cultivation tips) ।
সবার প্রথমে একটি বড় বোতল নিয়ে, তাতে তিনটি গোল ফুটো করে নেবেন। এরপর ওই বোতলের মধ্যে জল ভর্তি করতে হবে । এরপর রসুন নিয়ে তার সামনের এবং পিছনের অংশটি কেটে বোতলের ছিদ্রগুলির মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করাতে হবে।
এইভাবে জল ভর্তি ছিদ্রগুলির মধ্যে ওই রসুনগুলিকে তিন দিন রেখে দিতে হবে। তিন দিন পর লক্ষ্য করা যাবে, রসুনের কোয়া থেকে শিকড় ও সবুজ কান্ড বেরিয়ে এসেছে। এভাবে পাঁচ দিন পরে দেখা যাবে শিকড়গুলি আকারে বড় হতে শুরু করেছে। ওই দিকে সবুজ কান্ড থেকে আবার কোয়া বের হচ্ছে। অন্যদিকে এই বোতলগুলি থেকে পুরনো জল ফেলে দিয়ে তাতে আবার নতুন জল রাখতে হবে ।
এইভাবে সাতদিন পর দেখা যাবে, আরো অন্যান্য কোয়াগুলি থেকেও শিকড় বেরিয়ে এসেছে। সবুজ কান্ডগুলিও ভালোভাবে বড়ো হয়েছে। তখন বোতলের জলে হাইড্রোপনিক সলিউশন দিতে হবে। দশ দিন পর দেখা যাবে, রসুনে থাকা কান্ডগুলি থেকে সবুজ পাতা বের হয়েছে ও শিকড়গুলি আরো বড় হয়েছে। এরপর এই শিকড় শুদ্ধ রসুনগুলিকে মাটিতে রোপন করে দিতে হবে। তাতে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে, জলও দিতে হবে। তাহলেই দেখা যাবে, নির্দিষ্ট সময়ে পর ওই চারা গাছগুলি থেকে রসুনের গাছ বড় হতে থাকবে। বাদামী রং ধারণ করলেই বোঝা যাবে রসুন তোলার সময় হয়ে এসেছে।