জি বাংলার (zee bangla) অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’। বিগত ১০ বছর ধরে বাঙালির ঘরে ঘরে এই রিয়েলিটি শো-এর রমরমা। বিকেল পাঁচটা বাজলেই সকলের ঘরে ঘরে চলতে থাকে, এই জনপ্রিয় শোট। তবে সব থেকে চমকপ্রদ যেটি, তা হলো এই শোয়ে মূল মধ্যমণি অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। তার সঞ্চালনায় দিন দিন আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই রিয়েলিটি শো।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন মেয়ে, বৌরা এসে হাজির হয় দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে। অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সামনে তাদের জীবনের নানান কাহিনী তারা তুলে ধরে। কখনো দেখা যায় ডিভোর্সি মহিলা এসে, তার দুঃখের কথা বলছে। কখনো বা নিপীড়িত নির্যাতিত মেয়েরা এসে, তাদের কাহিনী শোনাচ্ছে। আবার কখনো বা কারোর চরম সাফল্য আনন্দ এনে দিচ্ছে দর্শকদের। তবে এইসব কিছুর পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য রাখা, স্পেশাল এপিসোডগুলি দর্শকদের বেশ আনন্দ দেয়।
এমনই এক এপিসোডে খুদে প্রতিযোগী ‘অনুষ্কা চ্যাটার্জী’ সকলের নজর কেড়েছে। পরিবারের সঙ্গে খেলতে আসা অনুষ্কা রচনা ব্যানার্জিকে জানিয়েছে, সে তার মতনই সঞ্চালিকা হতে চায় এবং অভিনয় করতে চায়। অনুষ্কা জানায়, সে প্রতিদিন ঠাকুমার সাথে বসে দিদি নাম্বার ওয়ান দেখে এবং আশ্চর্যজনকভাবে ঐদিন সে পুরোপুরি রচনা ব্যানার্জীর মতনই সাজ-পোশাক করে এসেছিল।
দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা, রচনা ব্যানার্জীর প্রত্যেকটি কথা একদম হুবুহু একই রকম ভভাবেবলে চলেছে সে। এমনকি রচনা তাকে গান গাইতে বললে, সে গান গেয়েও শোনায়। এর ফলে রচনা ব্যানার্জি রীতিমতো ভয় পেয়ে যায়, পাছে তার চাকরি না চলে যায়! সে বলে
, “এত অল্প বয়সে এত সুন্দর সঞ্চালনা করছে, আমার চাকরিতে না টানাটানি পড়ে যায়”!