গান পাগল মানুষের মনের মতো প্ল্যাটফর্ম সারেগামাপা রিয়ালিটি শো। অসংখ্য প্রতিযোগীর মধ্যে কেউ কেউ নিজেদের সুর দিয়ে এমনই তাঁদের মনে বাসা বাঁধেন যে ওই সংগীতশিল্পীকে ট্রফি হাতে না দেখা অবধি শান্তি নেই। এমনই একজন সংগীত শিল্পী হলেন স্নিগ্ধজিৎ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর যাওয়া আসা প্রবল। আশা পারেখজি তো বলেই দিলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি তুমি ট্রফির আশেপাশে ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছ”।
আবার নতুন করে মঞ্চে নিজের সুরের ছন্দে আলোড়ন সৃষ্টি করল বুনিয়াদপুরের স্নিগ্ধজিৎ। শনিবার রাতে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বর্ষিয়ান অভিনেত্রী আশা পারেখ। ‘তিসরি মনজিল’ সিনেমার শাম্মি কাপুর ও আশা পারেখ অভিনীত সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘আজা আজা মেয় হুঁ প্যায়ার তেরা’ সাথে ‘ইয়ে শাম মস্তানি’র মতো দুটি ভিন্ন স্বাদের গান অত্যধিক অমায়িকভাবে গেয়ে আশা পারেখের প্রশংসনীয় প্রিয় পাত্র হয়ে যান। সাথে শংকর মহাদেবনের সাথে এক চিলতে আলিঙ্গন ও জুরির তরফে ১০০ শতাংশ স্কোর তো রয়েছেই।
প্রায় পাঁচ দশক আগের কথা। বলি পাড়ার একের পর এক সিনেমা বক্স অফিস কাঁপিয়ে চলছে। এল সেই ১৯৭১। মুক্তি পেল ‘কাটি পতঙ্গ’। হিট গানও পেয়ে গেল সিনে-বিশ্ব ‘ইয়ে শাম মস্তানি’। রাজেশ খান্নার বাজার তখন উঁচুতে। তিনিই লিড হলেন ছবির। কাঁধে কাঁধ মেলাতে হাজির হলেন সুন্দরী আশাজি। ব্যাস, জমে ক্ষীর। হলে জায়গাই ধরেনি। “ইয়ে শাম মস্তানি… মদহুঁশ কিয়ে যায়” সত্যিই হুঁশই উড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিল। সেই গান আবার স্নিগ্ধজিৎ আশাজি কে এযুগে সাবলীলভাবে উপহার দিলেন। আশাজিকে খুশি হতেই হত। তাই না!
বলা বাহুল্য, এই স্নিগ্ধজিৎ ছেলেটি কিন্তু অনেক অপমানের স্বীকারও হয়েছেন। অনেক ট্রোল হয়েছে তাঁকে নিয়ে। কথা উঠেছে দারিদ্র্যতা দেখিয়ে সান্ত্বনা কামাই করেন তিনি। কড়া ভাষায় প্রত্যুত্তরও করেছেন সমস্ত ট্রোলের। নেটিজনের এক অংশের মতে, এবার বিষয়টি হয়েছে অনেকটা ওই ট্রোল করা মানুষগুলোর মুখে ঝামা ঘষার মতো যখন আশা জির মতো বিজ্ঞ অভিনেত্রী বললেন, “প্রথমেই বলি জিনতজির হাত থেকে ওই টুপি পাওয়ার পর থেকেই তুমি একটু বেশিই ভালো গাইছো দেখছি। নামের পাশেই জিতকে ধরেও রেখেছ। ফাইনালে পৌঁছাচ্ছো তুমি দেখতেই পাচ্ছি”। তবে কি সারেগামাপার ট্রফি বাংলার পথেই?