একজন জনপ্রিয় বাঙালি গায়ক হিসেবে শিলাজিৎ মজুমদারের (Silajit Majumder) বেশ ভালোই নাম-ডাক রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে বিশাল ফ্যান ফলোয়ার্স। অবশ্য গায়কও ভক্তদের নিরাশ করেন না। মাঝে মধ্যেই লাইভে এসে জমিয়ে আড্ডা দেন। যেমন দিনকয়েক আগেই গ্রামের এক বোন সোনামনির কথা তুলে ধরেছিলেন। দাদা শিলাজিতের কাছে সোনামনির আবদার ছিল বুম্বা দাকে একবার চোখের দেখতে চান তিনি।সেই ভিডিও পৌঁছে যায় প্রসেনজিৎ (Prosenjit Chatterjee)-এর কাছেও। আর তারপর অভিনেতা কথা দেন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি অবশ্যই গড়গড়ি গ্রামে যাবেন ও সোনামনির সঙ্গে বেশ কিছুটা সময়ও কাটাবেন।
আর ব্যাস, সংবাদমাধ্যম লুফে নেয় এই খবর। প্রিন্ট থেকে পোর্টাল প্রতিটি সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করে। এমনকি জনপ্রিয় এক সংবাদ পত্রিকাও এই বিষয়ে লেখেন। তুলে ধরেন ঘটনাটি। আর সেখানেই কিছু ভুল থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভিডিও শেয়ার করতে হলো গায়ক শিলাজিৎ (Silajit Majumder)-কে। এবার তিনি প্রশ্ন তুললেন সাংবাদিকতা নিয়ে। খবরটি প্রসঙ্গে প্রথমে যে ভুলটি তিনি ধরেছেন সেটি হলো, সোনামনির ছবি। আসলে সোনামনির বয়স ৩০। কিন্তু সোনামনিকে নিয়ে করা ওই খবরে ছবি দেওয়া হয়েছে একটি বাচ্চা মেয়ের।
যে কোনোভাবেই সোনামনি (Sonamoni) হতে পারেন না। এমনকি সোনামনি নিজেও ওই ছবিটি দেখে জানিয়েছেন যে এটা তাঁর ছবি নয়। আর দ্বিতীয় ভুলটি হল ওই পত্রিকায় লেখা হয় যে, বীরভূমের সিউড়ি থানার করিথ্যা লাগোয়া গড়গড়ি গ্রামে। কিন্তু আদতে গড়গড়ি সিউরি থানা নয় পাড়ুই থানার মধ্যে পরে। ওই পত্রিকায় আরও লেখা হয়েছে যে, গড়গড়িতে শিলাজিৎ মজুমদারের (Silajit Majumder) আত্মীয়ের বাড়ি। কিন্তু আসলে গায়কের নিজের বাড়ি গড়িগড়িতে। আর তাই ছোট থেকেই শিলাজিৎ চেনেন সোনামনিকে এমনকি সোনামনিও চেনেন শিলাজিৎকে।
ভিডিওটি গায়ক নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন। আর লেখেন – ‘বাঃ, বাঃ রে সাংবাদিক নাকি সাংবাদিকতা…আপনারা ভুলে যাচ্ছেন আজকের খবর কালকের ইতিহাস…পশ্চিমবঙ্গের একটা নামী সংবাদমাধ্যম হয়ে এত সহজে কি করে আপনারা ভুল তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন’। গায়ক শিলাজিৎ যে এই ভুল তথ্য প্রকাশ করায় বেজায় চটেছেন তা পরিষ্কার। তবে, ক্ষোভ প্রকাশ শেষে গায়ক একটি সুখবরও দিয়েছেন। সোনামনির সঙ্গে প্রসেনজিতের ভিডিও কলে কথা বলার মুহূর্ত খুব শ্রীঘ্রই শেয়ার করবেন বলে জানালেন শিলাজিৎ।