বর্ষায় অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। এই সময় হজম ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। সে কারণে চিকিৎসকরা বর্ষার সময় ঝুঝেশুনে খাদ্যগ্রহণের পরামর্শ দেন। বর্ষায় দই খাওয়া উচিত কি না তা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে।
অনেকের মতে, বর্ষায় দই খাওয়া উচিত নয়। এটি ঠান্ডা খাবার। যা বর্ষার মৌসুমে সহজে হজম হয় না। আবার অনেকের মতে, সুস্বাস্থ্যের জন্য বর্ষাকালে দই খেতে পারেন। এ কারণে বর্ষাকালে দই খেতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। যেমন-
বর্ষাকালে নিয়মিত দই খেতেই পারেন। তবে, কম পরিমাণ দই খান। এতে হজমে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তেমনই কোনও শারীরিক জটিলতাও তৈরি হবে না। তা না হলে গায়ে-হাতে ব্যথা, জ্বরের মতো সমস্যা হতে পারে।
বর্ষায় দই খেতে হলে দুপুরের সময় বেছে নিন। রোজ দুপুরে ১ কাপ করে দই খান। এতে কোনও শারীরিক জটিলতা তৈরি হবে না। দুপুরে খেলে তা সহজে হজমও হয়ে যাবে।
রাতের বেলায় ভুলেও দই খাবেন না। এতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। রাতে খেতে তা সহজে হজম হবে না। এতে যেমন ঘুমের সময় অস্বস্তি বোধ করবেন, তেমনই পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা আছে তারা বর্ষায় দই খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এটি ঠান্ডা খাবার। আর যাদের ইতিমধ্যে ঠান্ডা লাগার সমস্যা আছে, তারা খেলে শারীরিক জটিলতা বাড়বে। বর্ষার সময় এই ধরনের রোগীদের দই না খাওয়াই ভালো।
দইয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে। এটি নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যেও কমে। এতে থাকা ল্যাক্টোব্যাসিলাস অ্যাসিডোফিলাস ইস্ট ধ্বংস করতে পারে। নিয়মিত দই খেলে দাঁত ও হাড় মজবুত হয় ।
দই ত্বকের জন্যও উপকারী। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে ও ত্বক উজ্জ্বল করতে অনেকেই দই দিয়ে প্যাক তৈরি করে থাকেন।
মানসিক চাপ দূর করতে খেতে পারেন দই। এছাড়া শরীরে রোগ প্রতরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দই বেশ কার্যকর।