ভারতে বিশ্বের অন্যতম অটোমোবাইল কোম্পানি হোন্ডা মটরের শেয়ার দিন দিন কমতে শুরু করেছে। একটা সময় ভারতের বাজারে রীতিমতো রাজত্ব করতে হোন্ডা মোটরস কিন্তু এখন এই কোম্পানির গাড়ি ক্রমাগত কম হতে শুরু করেছে। তার মূল কারণ হলো honda কোম্পানির গাড়ির বেশি দাম এবং কম স্পেসিফিকেশন। তাই এবারে ভারতীয় বাজারে নতুন করে আত্মপ্রকাশ করতে কোম্পানিটি সম্প্রতি একটি এসইউভি গাড়ি লঞ্চ করতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী সময়ে কোম্পানি এইরকম বেশ কিছু গাড়ি লঞ্চ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে খবর। বর্তমানে তাদের তিনটি গাড়ি ভারতের বাজারে ভালোই বিক্রি হচ্ছে এবং কিছু নতুন গাড়ি ভারতের বাজারে আসবে আর কদিনের মধ্যে।
সাম্প্রতিক একটি সংবাদ সম্মেলনে হন্ডার প্রেসিডেন্ট এবং সিইও ভারতে তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনার ব্যাপারে কিছু আলোকপাত করেন। তিনি বলেন ২০৩০ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি এমন গাড়ি লঞ্চ করবেন যেগুলি ভারতীয়দের পছন্দ হবে এবং এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়িও থাকবে। হোন্ডা এখন বৈদ্যুতিক গাড়িকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং তাদের ব্যাটারি এবং মোটর নিয়ে ক্রমাগত কাজ করতে শুরু করেছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে হন্ডা। এছাড়াও ২০৪০ সালের মধ্যে তাদের সমস্ত আইসিই গাড়ি বন্ধ করে দেবে বলে জানা যাচ্ছে এই কোম্পানিটি। অর্থাৎ বলতে গেলে ২০৪০ সালের পর থেকে হোন্ডা কোম্পানির প্রতিটি গাড়ি বৈদ্যুতিক গাড়ি হবে।
হোন্ডা ছাড়াও বেশ কিছু বড় বড় কোম্পানি তাদের পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ি বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যে। কোম্পানি যদি ভারতে একটি ভ্যালু ফর মানে ইলেকট্রিক গাড়ি চালু করতে পারে তাহলে টাটা এবং মাহিন্দ্রা কোম্পানির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের দিনে ভারতের বাজারের সবথেকে জনপ্রিয় ইলেকট্রিক গাড়ি হল টাটা NEXON EV। এটি আজকে দেশের সবথেকে বেশি বিক্রি হওয়া ইলেকট্রিক গাড়ি। মাহিন্দ্রা এই সেগমেন্টে ধীরেধীরে উন্নতি করছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এই সেগমেন্টে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে এই কোম্পানিটি। তারি মাঝে এবারে নতুন করে ইলেকট্রিক মার্কেটে আত্মপ্রকাশ করার ঘোষণা করেছে honda। এবার দেখার বিষয় এটাই, হোন্ডা কোম্পানি ইলেকট্রিক গাড়ি আদৌ কি স্পেসিফিকেশনের দিক থেকে টাটা এবং মাহিন্দ্রাকে টেক্কা দিতে পারবে?