গলার মেদ কমাতে চান? থাহলে জোরে জোরে বলুন ‘এক্স’ এবং ‘কিউ’

পেটের মেদ বা ভুঁড়ি অনেকেই সহজে ঝরিয়ে ফেলেন। কিন্তু সমস্যায় ফেলে মুখে জমা অতিরিক্ত মেদ। মুখে অতিরিক্ত মেদ জমার ফলে মুখ অস্বাভাবিক ভারী বা ফোলা দেখায়। থুতনির নিচে অতিরিক্ত মেদ জমে তা গলা পর্যন্ত ঝুলে পড়ে। ফলে মুখের আদলটাই বদলে যায়। দেখতেও ভালো লাগে না।

মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তাই গালে, থুতনির নিচে জমা অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু পেটের মেদ বা ভুঁড়ি কমানোর মতো মুখের মেদ ঝরানো মোটেই সহজ নয়! কারণ শরীরের এই অংশের পেশির ব্যয়াম করা কঠিন। তবু কয়েকটি উপায় জানা থাকলে এই মেদও কমানো যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ডাবল চিন কমানর উপায়গুলো কী কী-

ঘাড় তুলে চিবোনো

এটি করার জন্য প্রথমেই ঘাড় তুলে ছাদের দিকে তাকান। এবার নিচের দাঁতগুলোকে এমনভাবে নাড়ান, মনে হয় যেন কিছু চিবোচ্ছেন। ১০ সেকেন্ড এরকম করার পরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। তারপর এক মিনিট পরে আবার করুন। দিনে অন্তত পাঁচবার এমন করলে মেদ কমবে।

চুমুর মতো ভঙ্গি করুন

গাল দুইটি দুইপাশ দিয়ে টেনে ভেতরে ঢোকান। এবার ঠোঁট দুটি চুমু খাওয়ার মতো করুন। এতেও গালের মেদ কমবে। গলার পেশিতেও টান পড়বে। ফলে মেদও কমে যাবে।

জিভের ব্যায়াম

এক্ষেত্রেও ঘাড়া হালকা উপরের দিকে তুলুন। তারপর জিভ যত দূর সম্ভব বাইরে বের করুন। তারপরে জিভ দিয়ে নাক স্পর্ষ করার মতো ভঙ্গি করুন। এতে জিভের লাগোয়া পেশির ব্যায়াম হবে। তাতে কমবে মুখের মেদ।

প্রাণ খুলে হাসুন

প্রতিদিন দুই বেলা পাঁচ থেকে সাত মিনিট করে হাসুন। তাতে পুরো মুখের পেশির ব্যায়াম হবে। ফলে মুখের মেদ কমবে।

দুটি ইংরেজি অক্ষর বলুন

এক্ষেত্রে প্রথমেই কাঠঠোকরার মতো ভঙ্গি করতে হবে। একবার মাথা ধীরে ধীরে পেছন দিকে নিতে হবে। আবার সামনে ঝোঁকাতে হবে। সামনে ঝোঁকানোর সময় জোরে বলতে হবে ‘এক্স’। আর মাথা পেছন দিকে হেলানোর সময়ে জোরে বলতে হবে ‘কিউ’। টানা এক থেকে দুই মিনিট এটি করতে হবে। দিনের মাথায় পাঁচ থেকে ছয় বার এমন করলে কমবে গলার মেদ।