গরমে কমবেশি সবারই চুলকানির সমস্যা বেড়ে যায়। ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি দেখা দিতে পারে। এমনকি ঘাম ও আটসাঁট পোশাকের কারণে গোপনাঙ্গেও চুলকানি হতে পারে। তাই এ সময় সবারই উচিত চুলকানি নিয়ে সতর্ক থাকার।
চুলকানি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে গরমে চুলকানির সমস্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ঘাম ও ময়লা জমে রোমকূপ আটকে যায় ও ঘাম বের হতে পারে না। ফলে র্যাশ, ফুসকুড়ি কিংবা ঘামাচির মতো সমস্যা দেখা দেয় ত্বকে।
আবার গরমে ফাঙ্গাল ইনফেকশনও বেড়ে যায়। তাই চুলকানি হলে মোটেও হেলাফেলা করবেন না। পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে মুহূর্তেই চুলকানি দূর করতে পারবেন। জেনে নিন করণীয়-
>> চুলকানি সারাতে বরফ দারুণ কার্যকরী এক পদার্থ। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ কমিয়ে দিতে পারে। তাই সেই জায়গায় বরফ ঘষে নিন। বরফ ঘষে নিতে পারলেই আপনি সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন।
>> ক্যালামাইন লোশনও চুলকানির সমস্যার দ্রুত সমাধান করে। বেশিরভাগ মানুষ এই লোশন ব্যবহার করেন রূপচর্চায়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লোশন ব্যবহারে কমতে পারে চুলকানি। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই।
>> চুলকানির সমস্যা সারাতে নারকেল তেলও দারুন কার্যকরী। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ চুলকানির সমস্যা সারায় খুব দ্রুত।
>> অ্যালোভেরার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। ত্বকের সব ধরনের সমস্যাই সমাধান করে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ ও প্রদাহ সারায়। তাই চুলকানির স্থানে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে মুহুর্তেই মিলবে স্বস্তি।
>> লেবুর রসেও আছে প্রদাহবিরোধী উপাদান। তাই চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারে লেবুর রস। তবে লেবুর রস সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করবেন না, সামান্য জল মিশিয়ে নিতে পারেন।
>> মেন্থল চুলকানি সারাতে দারুন কার্যকরী। এজন্য ব্যবহার করতে পারেন পিপারমিন্ট অয়েল। ২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভবতী নারীর ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ সারাতে দারুন কাজ করে মেন্থল।