জগিং করতে গিয়ে পেশির আঘাত লাগলে দ্রুত যা করবেন, জেনেনিন

শরীরচর্চার অন্যতম কার্যকর উপায় দৌড়নো। হালকা জগিং, একটু জোরে হাঁটা, ধীর থেকে মধ্য গতিতে দৌড়নো— এ সব কেবল ওজন কমায় আর মেদ ঝরায় না। বরং পেশিগুলিকে মজবুত রাখতে। পেশির শিথিলতা রুখতেও এই কসরত প্রয়োজনীয়। দৌড়লে গোটা শরীরের কসরত হয়ে যায় একসঙ্গে।

কিন্তু দৌড়তে ইচ্ছা হলেই তা শুরু করে ফেললাম, এমনটা করা উচিত নয় বলেই মত ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের। মাথায় রাখতে হবে হঠাৎ দৌড় শুরুর পর চোট-আঘাতের দিকটিও। চিকিৎসকদের মতে, এক দিন সকালে উঠে হঠাৎ কিছুটা দৌড়ে এলে চলবে না। মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। শারীরিক কসরতের কারণে ব্যথা-বেদনা হলে কী ভাবে সামাল দেবেন, তা-ও জানা জরুরি। হঠাৎ তৈরি হওয়া নয়া রুটিনে শরীরের অভ্যস্ত হতে কিছুটা সময় লাগে। সে কথা মনে রাখা দরকার।

জগিং বা দৌড়নো শুরু করার পর পেশিতে টান ধরা বা যন্ত্রণা হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। ভয় পেয়ে দৌড়নো বন্ধ করে দেওয়ারও কোনও কারণ নেই। এই যন্ত্রণাকে নিয়ন্ত্রণ করা নিয়েও ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। এই যন্ত্রণা যদি দীর্ঘ দিন স্থায়ী হয়, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সাধারণত পেশির ব্যথা কয়েক ভাবে জব্দ করা যায়। জেনে নিন পথগুলি।

গোড়ালি মুচকে যাওয়া: গোড়ালি মুচ়কে অথবা ঘুরে গিয়ে অসহনীয় ব্যথার সৃষ্টি হয়। হঠাৎ গোড়ালিতে আঘাত লাগলে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়ে পা ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কী করবেন: এ ক্ষেত্রে কিছু দিনের জন্য দৌড়নো বন্ধ করে ফিটনেস ট্রেনারের পরামর্শ মেনে অন্য ব্যায়াম করুন। বরফ নিয়ে ফোলা অংশে লাগান। এই চোট সেরে উঠতে ২-৩ সপ্তাহ লেগে যায়। ভবিষ্যতে এই ধরনের চোট এড়াতে গোড়ালির পেশির জোর বাড়ান।

হ্যামস্ট্রিংয়ে টান: উরুর পিছনের অংশের পেশি শক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান ধরে। অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত দৌড়লে এই চোট লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সাধারণত হাঁটু মুড়ে বসার সময়ে এই ব্যথা অনুভূত হয়।

কী করবেন: বেশি চোট লাগলে তৎক্ষণাৎ দৌড়নো বন্ধ করুন এবং কিছু দিনের জন্য বিশ্রাম নিন। ব্যায়াম শুরুর আগে ওয়ার্ম আপ করতে ভুলবেন না। না হলে ফের টান ধরতে পারে।