গাছপালা-ফুলফলের মাঝে জীবন যাপন করলে সর্বক্ষণ আপনাকে ঘিরে থাকবে প্রকৃতির নিখাদ সৌন্দর্য। শুধু তাই নয়, আপনি একজন নারী হয়ে থাকলে এই জীবনটা বেশ লম্বা হতে পারে। হার্ভার্ড টি. এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ ও ব্রিগহ্যাম ওম্যান’স হসপিটালের করা এক গবেষণা বলছে, গাছপালার মাঝে বসবাস করা নারীদের আয়ু হয় বেশি।
আমেরিকায় আট বছর লম্বা এই গবেষণার ফলাফল হিসেবে দেখা যায়, আপনার আশেপাশে বেশ গাছপালা থাকলে বেশ কিছু কারণে তা আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। বায়ু দূষণ তো কম হয়ই, তার পাশাপাশি শরীরচর্চার সুযোগটাও থাকে বেশি। শুধু তাই নয়, এমন পরিবেশে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। বিশেষ করে বিষণ্ণতা কমাতে তা সাহায্য করে।
অনেক গাছপালা আছে এমন জায়গায় বাস করা তো সবার পক্ষে সম্ভব নয়। আপনি যদি শহুরে জীবনে অভ্যস্ত থাকেন, তখন কী করবেন? বাড়ির ভেতরে গাছ রাখাটাও এক্ষেত্রে উপকারি। আপনার বাড়ি এবং অফিসে বেশকিছু গাছের টব রাখা হলে তা বাড়াতে পারে আপনার কর্মোদ্যম, বায়ু রাখে পরিষ্কার এবং কমাতে পারে আপনার রক্তচাপ।
গাছ
গবেষণায় বলা হয়, “গাছপালার মাঝে বসবাস এবং আয়ু বাড়ার মাঝে এমন সরাসরি সংযোগ দেখে আমরা খুবই অবাক হই।” এই গবেষণায় আরো জানানো হয়, বড় বৃক্ষ, ছোটোখাটো ফুলগাছ বা অন্য যে কোনো ধরণের গাছপালা বিষণ্ণতা কমাতে ভুমিকা রাখে। এমন মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে বাস করা নারীরা বেশি সামাজিক হন, তারা ব্যায়াম বেশি করেন এবং বায়ু দূষণের ফলে কম ক্ষতিগ্রস্ত হন।
সবচাইতে বড় সুবিধা হলো, শ্বসনতন্ত্রের রোগ এবং ক্যান্সার কম হতে দেখা যায় তাদের মাঝে। বেশ সবুজ এলাকায় বাস করা নারীদের শ্বসনতন্ত্রের রোগে মৃত্যুর হার ৩৪ শতাংশ কম এবং ক্যান্সারে মৃত্যুর হার ১৩ শতাংশ কম হতে দেখা যায়।
শারীরিক এবং মানসিক দুদিক থেকেই উপকারী হতে পারে আপনার আশেপাশে সবুজের উপস্থিতি। তাই আপনার বাড়ির আশেপাশে গাছপালা না থাকলেও বাড়িতে এক টুকরো বাগান করে নিতেই পারেন।