আপনি কি ভুলে যাওয়া রোগে আক্রান্ত! তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্যই লেখা

ভুলে যাওয়ার ঘটনা অনেকের সঙ্গেই ঘটে। ভুলে যাই বলে ভুলের খেসারতও দিতে হয় প্রায়ই। তবে কিছু কৌশল খাটালে ভুলে যাওয়া এড়ানো যেতে পারে।

১.কাজ ভাগ করে রাখুন

একই দিনে বিদ্যুৎ বিল, জলের বিল, ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দিতে চান অনেকে। সব এক দিনের জন্য রেখে দিলে শেষ দিনে গিয়ে বিপদে পড়তে হয়। তাই দিন অনুসারে কাজ ভাগ করে নিন । সব কাজ এক দিনে না করে কাজের গুরুত্ব অনুসারে একেক কাজ একেক দিনে করা ভালো।

২.কাজে অন্যদের যুক্ত করুন

হয়তো হুট করে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, তা-ও বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার কাজটি করবেনই। দরকার হলে নিজের কাজ বাড়ির অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিন। ব্যস্ততায় কাজ ভুলে যেতে পারেন, তাই অন্যদের যুক্ত করে নিজের ওপর চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

৩.খেয়াল করুন

আমরা কোথাও গেলে ভুলে চাবি রেখে আসি। তবে মুঠোফোন ভুলে ফেলে রেখে আসার ঘটনা কম ঘটে। কারণ মুঠোফোন আমাদের প্রতি মুহূর্তেই লাগে বলে আমরা অবচেতনভাবে মুঠোফোনের গুরুত্ব বুঝে ফেলি, আর তা কখনোই হাতছাড়া করি না। চাবির ক্ষেত্রেও গুরুত্ব বুঝুন, দেখবেন কখনোই চাবি হারাবেন না।

৪.পরিকল্পনা করুন

খুব কম মানুষই আছেন, যাঁরা আগামীকাল কী করবেন, সে পরিকল্পনা আজই করে ফেলেন। প্রতিদিন আগামীকাল যা যা করবেন, তা একটি কাগজে লিখে ফেলুন। কাজের গুরুত্ব অনুসারে কোন কাজ কখন করবেন, তা শেষ করার পরিকল্পনা করুন।

৫.একটু কৌশল খাটান

একটু কৌশল খাটিয়ে ভুলে যাওয়ার ঘটনা এড়ানো যায়। আবার যেখানে যাচ্ছেন, সেখান থেকে চলে আসার আগে কী কী নিয়ে এসেছিলেন, তা মনে করার চেষ্টা করুন। নিয়মিত অভ্যাস করতে পারলেই ভুলে যাওয়া এড়ানো সম্ভব।

৬. লিখে রাখুন

বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা লিখে রাখা হয় না। ডায়েরি কিংবা মুঠোফোনের অ্যাপে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও শেষ দিনের কথা নোট আকারে লিখে রাখুন। প্রতিদিন ডায়েরির পাতা ওলটানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজই ঠিক সময়ের আগে করে ফেলা যায়।