কিডনি সুস্থ রাখতে চাইলে এই ভুল গুল একদম করবেন না! জানুন কি সেই ভুল

শরীরে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কিডনির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই অঙ্গটি কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য এবং বাড়তি জল বের করে দেয়। তাই কিডনির প্রতি সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে কিডনিও আপনাকে ভালো রাখতে পারবে

আর কিডনির প্রতি সচেতন থাকার প্রথম ধাপ হচ্ছে, কিডনির ক্ষতি করে এমন অভ্যাসগুলো ত্যাগ করা। যেমন. . .

অপর্যাপ্ত জল পান

অপর্যাপ্ত জল পানের অভ্যাস, কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি সৃষ্টি করে। তাই শরীর তথা কিডনির জন্য পর্যাপ্ত জল পান অপরিহার্য। শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের করে দেয়া, রক্ত পরিশোধন, জল ও খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা প্রভৃতি কিডনির প্রধান কাজ। জলের অভাবে কিডনির এসব স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ব্যাহত হয়। কিডনি যখন স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না তখন শরীরের বর্জ্য জমতে থাকে, যা শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। অন্যদিকে কিডনি ধীরে ধীরে এবং স্থায়ীভাবে কার্যকারিতা হারায়।

প্রস্রাব চেপে রাখা

আপনি যদি কিডনি ভালো রাখতে চান তাহলে টয়লেটে যেতে দেরি করবেন না। আপনি যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, প্রস্রাব চেপে রাখা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। এটা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রভাব না ফেললেও ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরুপ।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া

নোনতা খাবার পছন্দের? দীর্ঘদিন যাবত খাচ্ছেন? তাহলে আপনি অনেক দেরি করে ফেলেছেন। এখনি উচিত এই অভ্যাস ত্যগ করা। এতদিনে আপনার কিডনি হয়তো আর স্বাভাবিক অবস্থায় আর নেই। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ বা লবণ জাতীয় খাবার শরীরের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর। লবণে উপস্থিত সোডিয়াম ক্লোরাইডের সোডিয়াম কিডনিতে স্বাভাবিকভাবে পরিস্রাবণ হয় না। ফলে কিডনিতে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

ক্যাফেইন অতিরিক্ত আসক্তি

মাঝে মাঝে কফি পান করা দোষের বা ক্ষতির কিছুই না। কিন্তু অতিমাত্রায় কফি বা অন্যান্য ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় (কোলা) অর্থাৎ যাতে ক্যাফেইনের মাত্রা বেশি সেগুলো নিয়মিত পান করা কিডনির জন্য বিপজ্জনক।

ব্যথানাশক ওষুধ বা পেইনকিলার

বস্তুত ব্যথানাশক ওষুধ বিপজ্জনক নয়। কিন্তু আপনি যদি সামান্যতম ব্যথার জন্যেও পেইনকিলার গ্রহণে অভ্যস্ত থাকেন তবে সেটা সত্যিই মারাত্বক বিষয় বটে। যেটা আপনার কিডনির জন্য পুরোপুরি হুমকিস্বরুপ।

মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া

বলা বাহুল্য শরীরের জন্য প্রোটিন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অতিমাত্রায় প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণে কিডনির পরিস্রাবণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে ধীরে ধীরে কিডনি দুর্বল হয়ে পড়ে।

অনিয়মিত বিশ্রাম

শরীরের সার্বিক কার্যাবলী ঠিক রাখতে নিয়মিত বিশ্রামের জুড়ি নেই। অনিয়মিত বিশ্রাম মস্তিষ্ক সহ শরীরের নানা অঙ্গের ক্ষতি সাধন করে থাকে। অনিয়মিত বিশ্রামে বডি সার্কুলেশন প্রসেস ব্যাহত হয়। ফলে সেটা মস্তিষ্ক সহ কিডনি ও হৃদপিণ্ডে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করে।

অ্যালকোহল

অ্যালকোহল শরীরের জন্য সর্বদাই ক্ষতিকর, বিশেষ করে কিডনির জন্য। আর তা যদি হয় অতিমাত্রায় তাহলে তো কথাই নেই। মদ্যপান বা অ্যালকোহল গ্রহণে কিডনির নেফ্রনে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ফলে ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা লোপ পেতে শুরু করে।