সুস্থ থাকার জন্য সচেতন থাকার বিকল্প নেই। গর্ভাবস্থায় এই সচেতনতা আরও বাড়ানো জরুরি। কারণ এসময় শুধু নিজের নয়, বরং নিজের মাধ্যমে আরও একটি প্রাণের যত্ন নিতে হয়। গর্ভাবস্থায় হাসিখুশি আর নিশ্চিন্ত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি কিছু সাবধানতাও মেনে চলতে বলেন।
সবার বাড়িতেই এমন কিছু জিনিসপত্র থাকে, যা গর্ভবতীদের মোটেই উপকারী নয় বরং অত্যন্ত ক্ষতিকর। অনেকে খাবারের ব্যাপারে সতর্কতা মেনে চলেন এবং মনে করেন, এতেই যথেষ্ট। কিন্তু বাড়িতে থাকা নীরিহ কোনো বস্তুও যে ক্ষতির কারণ হতে পারে সে ধারণা অনেকেরই থাকে না। এমন পাঁচটি জিনিস সম্পর্কে জেনে নিন, যা গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর।
কসমেটিকস
গর্ভাবস্থায় কসমেটিকস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন। অনেক লিপস্টিক, শ্যাম্পু, টোনারে প্যাথালেটস থাকে। এর ফলে শিশুর ওজন এবং মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। এই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করে গর্ভবতী নারীর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে।
মশা মারার স্প্রে ও ক্রিম
মশা দূর করার জন্য স্প্রের ব্যবহার করেন অনেকে। মশা থেকে বাঁচতে এক ধরনের ক্রিমও ব্যবহার করেন অনেকে। তবে গর্ভাবস্থায় এর থেকে দূরে থাকুন। এর মধ্যে যেসব রাসায়নিক থাকে তা গর্ভবতী নারী ও গর্ভস্থ সন্তানের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। অন্তত গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক মাস এই সব দ্রব্য ব্যবহার করবেন না। এছাড়া ন্যাপথালিন, ব্লিচের মতো দ্রব্য থেকেও এই সময়ে দূরে থাকা উচিত।
দেয়ালের রং
বাড়ির দেয়ালে রং করলে তা বাড়িকে নতুন করে তোলে। তবে গর্ভাবস্থায় বাড়িতে রং করানোর কথা ভুলেও ভাববেন না।
গর্ভবতী মায়ের জন্য দেয়ালের রং ক্ষতিকর হতে পারে। দেয়ালের রঙে সীসা মেশানো হয়। যা গর্ভস্থ শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এর কারণে সময়ের আগে শিশুর জন্ম এবং শিশু নানা অসুখ বিসুখ নিয়ে জন্মাতে পারে।
ঘরের দূষণ
বাইরের মতো ঘরের ভেতরের দূষণও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ঘরের ভেতরে প্রচুর ধুলোবালি এবং দূষণ কণা থাকে। সেগুলো গর্ভবতী মহিলার শরীরে প্রবেশ করে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। পারলে ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার লাগিয়ে নিন। ঘরে যথেষ্ট আলো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।RS
প্লাস্টিক
গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হলো প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের মধ্যে প্যাথালেটসের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা খুব সহজেই ত্বকে শোষিত হয়। শরীরে শোষিত হয়ে এই রাসায়নিক গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।