সবাই সমান বুদ্ধিমান হন না। আপনি কতটা বুদ্ধিমান তা প্রমাণ করবে আপনার কাজ, কথা কিংবা যেকোনো পরিস্থিতিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত। এমনকী আপনার বন্ধু নির্বাচন কিংবা আপনার চারপাশের মানুষ দেখেও আপনার বুদ্ধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এমন মানুষের সংখ্যা বেশি নয়, যারা নিজের বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখে। বিভিন্ন জরিপ থেকে উঠে এসেছে কিছু লক্ষণের কথা; যেগুলো থাকলে বুঝতে হবে আপনি ভীষণ বুদ্ধিমান একজন। চলুন মিলিয়ে নেওয়া যাক-
সমবেদনা ও সহানুভূতি
অন্যের প্রতি আপনার সহানুভূতি ও সমবেদনা আপনাকে আরও বেশি মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে দেবে। মানুষের সঙ্গে মিশতে পারা নিঃসন্দেহে একটি বড় গুণ। এমন গুণসম্পন্ন মানুষ খুব বেশি দেখা যায় না। এ ধরনের মানুষেরা যেকোনো পরিস্থিতি সমস্যার সমাধান সহজে করতে পারে। আপনার যদি এমন গুণ থাকে তবে জেনে রাখবেন, আপনিও বুদ্ধিমান একজন।
জানতে চাওয়ার স্বভাব
আপনার মধ্যে যদি চারপাশ এবং বিশ্বে যা কিছু ঘটছে তা নিয়ে কৌতুহল থাকে তবে আপনিও একজন বুদ্ধিমান মানুষ। বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জানতে চাওয়া এবং যা কিছু ঘটছে তা সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করা বুদ্ধিমানের কাজ। তবে অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে আগ্রহ দেখানো কিন্তু এই তালিকায় পড়ে না। বরং এটি নির্বুদ্ধিতা। চলতি বিশ্ব, সমাজ, ধর্ম, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ে কৌতুহল থাকলে নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবতেই পারেন।
নিজেকে সংযত রাখা
আবেগ ধরে রেখে নিজেকে সংযত রাখতে পারলে আরও বেশি আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠা সম্ভব। যেকোনো পরিস্থিতিতে হুট করে সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং মাথা ঠান্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া- এই দুই স্বভাব আপনাকে বুদ্ধিমান হিসেবে প্রমাণ করে। তাই কোনো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। বরং আগে ভেবে নিন। এরপর বিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
ভালো স্মৃতি মনে রাখা
আপনি যদি কষ্টের স্মৃতিগুলো ভুলে ভালো স্মৃতিগুলো মনে রাখেন তবে জেনে রাখবেন, আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ। কারণ ভালো স্মৃতি মনে রাখলে এটি আপনার কার্যক্ষমতা ও কাজের প্রতি মনোযোগ অনেকখানি বাড়িয়ে তোলে। এতে যেকোনো কাজে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ইতিবাচক থাকুন।
নিজের কাজটি করা
আপনি যদি অন্যদের দেখাদেখি তাদের পথে না হেঁটে নিজের কাজে মনোযোগ দেন, তবে আপনি বুদ্ধিমান। সফল হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে গা না ভাসিয়ে বরং সঠিক লক্ষ্য রেখে এগিয়ে গেলে ধরা দেবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।