প্রাক্তনকে কারা বেশি ঘৃণা করে, নারী নাকি পুরুষ? জেনেনিন গবেষকদের দাবি

মানুষ যেখন প্রেমে পড়ে বা প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ থাকে তখন প্রেমিকা-প্রেমিকা একে অপরের কাছে থাকে সবচেয়ে সুখের আশ্রয়স্থল। আবার সম্পর্ক ভেঙে গেলে সেই মানুষটিই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বেদনার নাম।

আসলে “প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকা” বিষয়টি যেকোনো মানুষের কাছেই খুব আবেগের। তবে, এই আবেগের ক্ষেত্রেও আছে ভিন্নতা। কারো কাছে প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা খুবই স্পর্শকাতর আবার কেউবা তার প্রাক্তন স্ঙ্গীর ব্যাপারে থাকেন ক্ষুব্ধ। কেউ কেউ প্রাক্তনের স্মৃতি নিয়ে থাকতেই পছন্দ করেন আবার কেউ কেউ প্রাক্তনকে হুমকি মনে করেন, ঘৃণা করেন প্রাক্তনকে।

আর প্রাক্তনকে ঘৃণা করার ক্ষেত্রে পুরষের চেয়ে নারীরাই বেশি এগিয়ে। গবেষণা অনন্ত সেটিই বলছে।

সোশ্যাল সাইকোলজিক্যাল অ্যান্ড পারসোনালিটি সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পুরুষ তার প্রাক্তন সঙ্গীকে নিয়ে যতটা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, নারীরা ঠিক ততোটা করেন না।

অস্ট্রিয়ার গ্রেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল ৯০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যে পরিচালিত একটি জরিপের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। গবেষণায় অংশ নেয়া প্রত্যেকেরই আগে একটি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর নতুন সম্পর্কে জড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল।

গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তাদের আগের সম্পর্ককে দীর্ঘদিন ধরে রাখতে চেয়েছিলেন, বিপরীতে সঙ্গীর ভালোবাসার ঘাটতির প্রাধান্য দেখা গেছে। অন্যদিকে, পুরুষরা সম্পর্ককে এক ধরনের ছেলেখেলা মনে করেন এবং মনের মিলের চেয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রতি বেশি জোর দেন।

সোজা কথায় বলতে গেলে, সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী না হলে নারীরা সেটিকে সময়ের অপচয় মনে করেন। বিপরীতে, পুরুষরা তাদের আগের সম্পর্ক নিয়ে ততোটা চিন্তিত নন। তারা মনে করেন, যেহেতু সম্পর্ক নেই তাই সেখানে আর কোনো প্রাপ্তির আশাও নেই।

গবেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিচ্ছেদের জন্য নারীরা প্রেমিককে দায়ী করেন। এমনকি তারা ছেলে সঙ্গীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ আনেন। কিন্তু পুরুষদের কাছে জানতে চাইলে তারা অনেকেই সঠিক কোনো কারণ বলতে পারেন না।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, নারীরা একটি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন সঙ্গী খোঁজেন এবং বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাদের প্রাক্তন প্রেমিক ভালো ছিল না। অপরদিকে, বেশিরভাগ পুরুষ এটা মনে করে না যে, প্রাক্তন প্রেমিকা তার যোগ্য ছিল না।