মাথাব্যথার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। প্রতিদিনের জীবনে নানা কাজ, ঝামেলা, অশান্তি ও সমস্যা সামাল দিতে গিয়ে মাথাও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর তখনই শুরু হয়ে যায় মাথাব্যথা। অনেকেই সাধারণ ব্যথার ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়েন। কেউ কেউ আবার মাথায় তেল মালিশ করে আরাম পান।
তবে কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা সামান্য় মাথাব্যথায় আটকে থাকে না। বরং তার থেকে আরও বড় সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কখনো কখনো গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে মাথাব্যথা। তখন এই ব্যাপারে সতর্ক না হলেই নয়।
কারণ মাথাব্যথা থেকে শারীরিক অক্ষমতা আসতে পারে। এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলেও জানান ভারতের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুধীর কুমার। নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে তিনি লেখেন, ঘন ঘন মাথাব্যথার সমস্য়াকে একেবারেই অবহেলা করা ঠিক নয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাথাব্যথার বড় কারণ হলো মাইগ্রেন। তবে সব ক্ষেত্রে তা হয় না। বরং কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ থেকে হতে পারে। সাবঅ্যারাকনয়েড হেমারেজ তেমনই একটি রক্তক্ষরণ। যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
আবার রক্তক্ষরণ ছাড়াও মাথা ব্যথা হতে পারে। তেমনই মাথা ব্যথার পশ্চাতে থাকতে পারে টিউমার। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুধীরের মতে, মাথা ব্যথার কারণে ঘুম ভেঙে গেলে, হাঁটতে গেলে মাথার যন্ত্রণা হলে, বমি পেলে, কোনও জিনিস দুটো দেখলে তা টিউমারের লক্ষণ হতে পারে।
আর ব্রেন টিউমার ঠিক সময় ধরা না হলে তা থেকে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, যা আরও বিপজ্জনক। স্ট্রোক থেকে বেঁচে ফেরা গেলেও অঙ্গহানির ভয় থাকে। শরীরের কোনো অংশ অক্ষম হয়ে যেতে পারে।
আবার মেনিনজাইটিস অর্থাৎ ব্রেনের আবরণ মেনিনজেসের রোগের কারণেও মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হতে পারে। তাই মাথার যন্ত্রণা হলে তাকে কোনোমতেই অবহেলা করা ঠিক নয়।