অলসতা কাটিয়ে উঠতে আপনাকে সাহায্য করবে এই টিপস

অলসতা আমাদের কাজের ক্ষেত্রে বড় বাধা। অনেক সফলতার স্বপ্ন যখন আপনার চোখে তখন অলস বিকেল কাটানোর সময় কি আদৌ আছে? নিজেকে সারাক্ষণ কর্মক্ষম রাখতে কাটিয়ে উঠুন সকল জড়তা। আড়মোড়া ভেঙ্গে লেগে পড়ুন কাজে। নইলে সফলতার স্বপ্ন যে অধরাই রয়ে যাবে! অলসতা কাটিয়ে উঠতে আপনাকে সাহায্য করবে এই টিপসগুলো…

পছন্দের কাজটি করুন সবার আগে

একটা অপছন্দের কাজ দিয়ে যদি আপনাকে দিন শুরু করতে হয় তাহলে অলস লাগবে এটাই স্বাভাবিক। নিজেকে জাগিয়ে তুলতে কাজের রুটিন বদলে ফেলুন। সকালে রাখুন এমন একটি কাজ যা করতে আপনার ভাল লাগে। তাহলে সেই কাজের জন্য নিজেকে বিছানা থেকে তোলা সহজ হবে আপনার।

কাজের লিস্ট রাখুন চোখের সামনে

সারিদিনের কাজের একটা তালিকা করে ফেলুন রাতেই। সাথে সারা মাসের টার্গেট কাজের লিস্টও করুন। এই তালিকা কোথায় থাকবে? ডায়রির পাতায় রেখে দিলে কিন্তু হবে না। ঘরের এমন জায়গায় তালিকাটি লাগিয়ে রাখুন যেখানে ঘুম ভাংতেই চোখ পড়বে আপনার। ঘুমাতে যাওয়ার সময়ও একবার দেখে নিন।

কারণ খুঁজে বের করুন

অনেক সময় আপনার অলসতার কারণ শুধু কাজ করার অনিচ্ছা নাও হতে পারে। শারীরিক দূর্বলতা, উদ্দীপনার অভাব, কাজের একঘেয়েমী আপনার মাঝে জন্ম দিতে পারে কর্মবিমুখীতার। তাই কারণ খুঁজুন এবং সমস্যার সমাধান করুন।

নিজের আগ্রহকে কাজের সাথে যুক্ত করুন

আপনার পেশা যদি আপনার আগ্রহের সম্পূর্ণ বিপরীত হয় তাহলে কাজ করতে ভাল লাগবে না। একঘেয়ে বোধ হবে। কাজ করতে করতে গান শুনুন। কাজের সাথে এমন কিছু যোগ করুন যা আপনার কর্মোমূখীতা বাড়ায়। নিজেকে সময় বেধে দিন। দল বেঁধে কাজ করুন। এগুলো আপনাকে বসে থাকতে দেবে না।

খাবার

কিছু খাবার আমাদের অলস করে। সকালে ভাল স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। সকালের খাবার আমরা কোনরকম একটু খেয়ে বেরিয়ে পড়ি। ফলে কিছুক্ষণ পরই শরীর শক্তি হারাতে শুরু করে, অলস বোধ হতে থাকে। আবার সকালে বেশী ভারী খাবার খেলে সেটাও আপনার কর্মক্ষমতা হ্রাস করবে। পরিমিত খান, ভাল খাবার খান, তেল-চর্বি প্রত্যাহার করুন। সুস্বাস্থ্য কাটিয়ে দেবে সব জড়তা।

কাজের ফলাফল ভাবুন

যে কাজটি হাতে নিয়েছেন তা করলে কেমন সুফল পাবেন, আপনার কতটা লাভ হবে এসব ভাবুন। নিজেকে সেই সফলতার সময়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। চোখ বুজে কল্পনা করুন। আপনার স্বপ্ন আপনার মাঝে শক্তি জোগাবে।