ওরস্যালাইন ব্যবহারের আগে জানা উচিত এই বিষয়গুলি

ডায়রিয়া হলে জলশূন্যতা রোধে ওরস্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীর জল ও লবণ হারায়।

খাওয়ার স্যালাইন সেই জল-লবণের ঘাটতি পূরণ করে। ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেতে হয়, বিষয়টি সবারই জানা। তবে স্যালাইন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম অনেকেই হয়তো জানেন না!

স্যালাইনে থাকে লবণ অর্থাৎ সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, গ্লুকোজ এবং ট্রাইসোডিয়াম সাইট্রেট৷ আমরা যে ওরস্যালাইনের প্যাকেট কিনে খেয়ে থাকি; তা আধা লিটার জলের মধ্যে মিশিয়ে খেতে হয়।

অনেকেই হয়তো জলের পরিমাণ কমিয়ে পুরো প্যাকেটের স্যালাইন পান করে থাকেন। এতে কী হয় জানেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে শরীরে লবণের মাত্রা বেড়ে যায় অনেকগুণ।

এর প্রভাবে মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষ থেকে জল বের হতে পারে। এতে করে কোষ নষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও অস্বাভাবিক নয়৷ তাই আধা লিটার জলে পুরো প্যাকেটের স্যালাইন মিশিয়ে নিতে হবে৷ এরপর পরিমাণমতো খেতে হবে।

মনে রাখতে হবে, একবার বানানোর পর ওই স্যালাইন ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত খেতে পারবেন। এর বেশিক্ষণ থাকলে তা পান করা উচিন নয়।

কারণ ১২ ঘণ্টা পর সেখানে জীবাণুর সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। এই স্যালাইন খাওয়ালে শরীরে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে।

অনেকেরই ধারণা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের স্যালাইন খাওয়া উচিত নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, স্যালাইন মূলত লবণের ঘাটতি পূরণ করার কাজে ভূমিকা রাখে। শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখতে লবণের ভারসাম্য রক্ষা করাটা খুবই জরুরি।

আর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে শরীর প্রচুর লবণ হারাই। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরও ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেতে হবে। এতে লবণের আধিক্য হবে না বা রক্তচাপও বাড়বে না।

অন্যদিকে স্যালাইনে গ্লুকোজের পরিমাণ ২০ গ্রামের বেশি নয়। তাই ডায়রিয়ায় স্যালাইন খেলে ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তে শর্করা বাড়বে- এমন ধারণা ঠিক নয়।

এই গরমে ঘামের সঙ্গে শরীরের লবণ বেরিয়ে যায়। এর ফলে জলশূন্যতার দেখা দেয়। জলস্বল্পতা গরমের খুবই সাধারণ সমস্যা হলেও অবহেলা করলে তা মারাত্মক হয়ে যেতে পারে। এ সময়ে তাই দুর্বল লাগলে খাবার স্যালাইন খেতে পারেন।

চাইলে ঘরেও তৈরি করে নিতে পারে মূল্যবান ওরস্যালাইন। এজন্যিএক মুঠো গুড়, তিন আঙুলের ডগা দিয়ে এক চিমটি লবণ আধা লিটার জলে ভালোভাবে মিশিয়েই তৈরি করে নিতে পারেন ওরস্যালাইন।