স্ত্রীর উপরই নির্ভর করে স্বামীর সফলতা : দাবি গবেষকদের

একটি দাম্পত্য সম্পর্ক সুখের হয় স্বামী-স্ত্রীর বোঝাপোড়ার উপর। তারা একে অন্যের প্রতিযোগী নন, বরং সহযোগী। স্বামী বিভিন্ন কাজে যেমন স্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন, ঠিক তেমনই সবক্ষেত্রে স্ত্রীর পাশে থাকা ও সহযোগিতা করা স্বামীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

স্বামী-স্ত্রী দুজনের সফলতাই একে অন্যের ওপর নির্ভর করে। সংসারে সুখী হতে চাইলে যেমন একে অন্যের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও ভরসার প্রয়োজন, ঠিক তেমনই জীবনের সফলতাও নাকি জীবনসঙ্গীর ওপরই নির্ভর করছে। এমনটিই বলছে গবেষণা।

যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যে স্ত্রী তার স্বামীর সহযোগী, ওই স্বামী জীবনে বেশি সফলতা পান। স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য।

গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষের সাফল্য নির্ভর করে তিনি কেমন নারীকে বিয়ে করেছেন তার ওপর। ১৬৩ দম্পতির ওপর করা এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে আসে।

এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদেরকে একটি ধাঁধা সমাধান করতে দেওয়া হয় ও জয়ী ব্যক্তিকে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়াও ঘোষণা দেন গবেষকরা।

অংশগ্রহণকারী পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যেসব স্ত্রীরা পুরস্কার জেতার আশায় তাদের স্বামীকে সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ওই স্বামীরা ধাঁধার সমাধান করতে পেরেছেন দ্রুত।

অন্যদিকে যে স্ত্রীরা পুরস্কারের বিষয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রেখেছেন কিংবা স্বামীকে এ বিষয়ে কোনো সহযোগিতা করেননি ওই স্বামীরাই পিছিয়ে পড়েন প্রতিযোগিতায়।

গবেষকরা ৬ মাস পরে একই দম্পতিদের পরীক্ষা করেন, যারা পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চ্যালেঞ্জ প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাদের তুলনায় যারা অংশগ্রহণ করেছেন; তারা বেশি সফলতা অর্জন করেছিলেন। তারা অন্যদের চেয়ে সুখী ও সুস্থ বলে দাবি করেন গবেষকরা।

সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরাও গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ করেন, একজন ব্যক্তির সাফল্য কেবল নিজের ওপর নির্ভর করে না, তার জীবনসঙ্গীও এ ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা পালন করেন।

সেলিব্রিটি ও মহান নেতাদের মধ্যে এমন অনেক উদাহরণ আছে। যারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে তাদের জীবনসঙ্গী তাদের সাফল্যে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।