অনেকেই নিজের অজান্তেই কখনো মাথা দোলান আবার চোখ পিটপিট করেন ক্রমাগত। যা অন্যের কাছে দৃষ্টিকটূ। যদিও যারা এমনটি করেন, তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান কিংবা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তবে জানলে অবাক হবেন, এসব লক্ষণ কোনো মুদ্রাদোষ নয়। টরেটে সিন্ড্রোমের লক্ষণ এগুলো।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, অনেক কিশোরীর (বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের) মধ্যে এই সিন্ড্রোম দেখা দিচ্ছে। এটি এক স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া। যা টরেটে সিন্ড্রোমের মতো নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারের কারণে হয়ে থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মতে স্ট্রেস, ব্যাকুলতা ও অবসাদের কারণেও এমন হতে পারে। এই ডিসঅর্ডারের সঠিক কারণ এখনও জানা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের ত্রুটিপূর্ণ বিকাশের কারণে এমনটি হতে পারে। ছোটবেলা থেকেই এটি শুরু হয়।
জেনেটিক বা পরিবেশগত কারণেও হতে পারে এই সমস্যা। যেহেতু এই লক্ষণ পেশীর অনৈচ্ছিক খিঁচুনি, এটি একটি পেশী গোষ্ঠীর আকস্মিক অন্তর্বর্তীকালীন টানের সঙ্গে জড়িত। এর সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো-
> চোখ পিটপিট করা
> ঘ্রাণ নেওয়া
> গলা পরিষ্কার করা
> শব্দ করা
> হাসি হাসি মুখভঙ্গি
> মাথা দোলানো
> কাঁধ নাড়ানো
> লক্ষণ
টরেটে সিন্ড্রোমের প্রধান কারণ টিকস। এর মধ্যে কোনো কোনোটি খুব মৃদু হয়, যা লক্ষ্যই করা যায় না। স্ট্রেস, উত্তেজনা, অসুস্থতা, ক্লান্তি এটিকে আরও খারাপ অবস্থায় নিয়ে যায়।
যা হতে পারে লজ্জাজনক। কিছু টিকস ব্যক্তির সামাজিক জীবন ও কাজকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, নারীর তুলনায় ২-১৫ বছর বয়সী শিশু কিশোররা এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়।
সেন্টারর্স ফর ডিসিস কন্ট্রোলের তথ্য অনুযায়ী, এই সিন্ড্রোম নির্ণয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো একটি টেস্ট নেই। চিকিৎসকরা এই সিন্ড্রোম ও টিক ডিসঅর্ডার নির্ণয়ের জন্য ব্যক্তির লক্ষণগুলো যাচাই করেন। টিক ডিসঅর্ডার একে অপরের থেকে আলাদা।
এই রোগের চিকিৎসা কী?
এক্ষেত্রে আক্রান্তদেরকে মাঝেমধ্যে বিহেভিওরাল থেরাপি বা ফিজিওথেরাপির পরামর্শ দেওয়া হয়। এজন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত মেন্টাল হেলথ প্রফেশনালের কাছে কাউন্সিলিং করানো উচিত।
টরেটে সিন্ড্রোমের সম্পূর্ণ চিকিৎসা করতে পারে এমন কোনো ওষুধ নেই। তবে এর জন্য কিছু নিউরোলেপ্টিক ওষুধ দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, এডিএইচডি ও অ্যানক্সাইটির চিকিৎসা করা উচিত।