ইন্টারভিউতে আপনার উপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই নিয়োগদাতারা আপনাকে মূল্যায়ন করবেন। তাই প্রথম দর্শনটা হওয়া চাই খুব ভালো। সেজন্য আকর্ষণীয়, মার্জিত পোশাক পরার বিকল্প নেই। যে কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, সেখানে কাজের পরিবেশ ক্যাজুয়াল থাকলেও পেশাদারী মানসিকতা নিয়ে পোশাক পরে যান।
প্রশ্ন উঠতে পারে ইন্টারভিউয়ের জন্য সবচেয়ে উপযোগী পোশাক কোনটা? আর এর উত্তর হলো- জিনস, টি-শার্ট পরে ইন্টারভিউতে যাওয়া পেশাদারী মানসিকতার পরিচায়ক নয়। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য মূলত স্যুট-টাই বেশি উপযোগী পোশাক। ইন্টারভিউতে পোশাক-পরিচ্ছদ সম্পর্কে যেসব সচেতনতা থাকা উচিৎ:
পুরুষদের পোশাক-পরিচ্ছদ
* স্যুট (সবচেয়ে ভালো হয় নেভি বা গাঢ় ধূসর রঙয়ের হলে)।
* বড় হাতাওয়ালা শার্ট (সাদা বা স্যুটের সঙ্গে মানানসই)।
* বেল্ট (মার্জিত ডিজাইনের)।
* টাই।
* কালো মোজা, আকর্ষণীয় চামড়ার জুতা।
* সুন্দর, পরিপাটি হেয়ার স্টাইল।
* পারতপক্ষে কোনো জুয়েলারি না পরা।
* সুন্দর করে নখ কাটা।
* জীবনবৃত্তান্ত, সার্টিফিকেট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বহনের জন্য সুন্দর একটি ফাইল।
মেয়েদের পোশাক-পরিচ্ছদ
* মার্জিত ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ।
* ছোট হিলের জুতা।
* পারতপক্ষে জুয়েলারি কম পরা।
* সস্তা জুয়েলারি না পরার চেয়ে সুন্দর, ছোট কানের দুল, টিপ পরা ভালো
* শাড়ি পরলে, মার্জিত ভঙ্গিতে পরা। খেয়াল রাখবেন শাড়ির রঙ বা ডিজাইন যেন বেশি জাঁকজমক না হয়।
* হালকা মেকআপ নেয়া যেতে পারে, পারফিউমও হালকা মাখুন।
* জীবনবৃত্তান্ত, সার্টিফিকেট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বহনের জন্য সুন্দর একটি ফাইল।
ইন্টারভিউতে যা নেয়া ঠিক না
* চুইংগাম
* সেলফোন (নিলেও তা বন্ধ রাখুন)
* সিগারেট
* যাদের শরীরে উল্কি আঁকা আছে, তা ঢেকে রাখতে হবে
ইন্টারভিউয়ের আগে যা করা উচিৎ
* ইন্টারভিউয়ের আগে খেয়াল করুন আপনার সংগ্রহে সত্যিকার অর্থে ইন্টারভিউতে পড়ে যাওয়ার মতো মার্জিত পোশাক আছে কি না। সেগুলোর কোথাও কাটা ছেঁড়া নেই তো?
* ইন্টারভিউয়ের আগের রাতে সব পোশাক গুছিয়ে রাখুন। যাতে করে সকালে তাড়াহুড়ো করে আপনাকে খুঁজে নিতে না হয় সেগুলো।
* ইন্টারভিউয়ের আগে প্রয়োজনে পোশাক ড্রাই ক্লিন করিয়ে আনুন। ইন্টারভিউ শেষে তা আবার ড্রাই ক্লিন করান। যাতে করে পরবর্তী ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন।
* জুতা পালিশ করে রাখুন।