বয়ঃসন্ধির পর থেকেই ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে ব্রণ অন্যতম। ব্রণ ত্বকের ক্ষতি করে, সেই সঙ্গে বাহ্যিক সৌন্দর্যও নষ্ট করে দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে ব্রণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। আবার কারো কারো জন্য তা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
বাইরে এখন শুষ্ক আবহাওয়া। বাতাসে ধুলোবালি। মুখে ব্রণ হওয়ার আদর্শ পরিবেশ। এ যেন গোটা গোটা যন্ত্রণা। একটা সেরে ওঠে তো, পাশে আরেকটা! আয়নার সামনে দাঁড়ালে হাত নিশপিশ করে। পুঁজভর্তি পাকা পাকা গোটাগুলো নখ দিয়ে খুঁটতে মন চায়। সাবধান! মনকে আজই প্রবোধ দিন, ভুলেও আর ব্রণ খোঁচানো নয়। এতে জীবাণুর বিস্তারের সঙ্গে প্রদাহও বেড়ে যায়।
অনেকের আবার ধৈর্য কম। পাকার আগেই কাঁচা ব্রণের ওপর হামলে পড়েন। নখ দিয়ে সেই কাঁচা ব্রণ খোঁটালে বিপদ আরো বাড়বে। ত্বকের অন্যখানে ব্রণের রস লেগে নতুন ব্রণের জন্ম হয়। এ ছাড়া খোঁচানোর কারণে ব্রণের ব্যাকটেরিয়া আশপাশে অন্য ব্রণগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। তাতে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং বাতাসে ভাসমান জীবাণু দ্বারা তা দ্রুতই সংক্রমিত হতে পারে। এই বদভ্যাসের জন্য আপনি আরো খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন। আবার ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বাজারের নানা প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন যা কিনা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
তবে ব্রণ দূর করার আগে জানতে হবে মুখে ব্রণ কেন হচ্ছে। আসলে জীবনযাত্রার মান ভালো না হলেও ব্রণের সমস্যা তৈরি হয়। ব্রণ হওয়ার পেছনে দায়ী মূলত কয়েকটি অভ্যাস। যেগুলো পরিবর্তন করলে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কী কী করণীয়-
** বাইরে বের হলে ধুলাবালি থেকে মুখকে বাঁচাতে মাস্ক পরুন। ত্বক তৈলাক্ততা কমাতে নিয়মিত মুখ ধুতে হবে।
** ত্বকে বেশি রোদ লাগাবেন না। অতিরিক্ত রোদ লাগালে ত্বকে প্রদাহ বা সানবার্ন হতে পারে। এমনকি ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়।
** পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৬-৮ ঘণ্টা নিয়মিত ঘুমের প্রয়োজন। অনেকেই আছেন রাত জেগে কাজ করেন। এ কারণে হরমোনে তারতম্য দেখা দেয়। এর থেকেও ব্রণ হতে পারে।
** শরীরচর্চা করার সময় সবাই একটু আঁটসাঁট পোশাক পরেন। এতে ঘাম পোশাকে আটকে যায়। তাই শরীরচর্চার পর ঘাম শুকিয়ে স্নান না করলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটতে পারে।
** অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের কারণেই বেশিরভাগ মানুষের মুখে ব্রণ হয়। বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেলেই ব্রণ বাড়ে। একইসঙ্গে দুগ্ধজাত খাবার, আইসক্রিম, চকোলেট ও জাঙ্কফুড। এসবের বদলে খাদ্যতালিকায় রাখুন টাটকা ফল ও শাক-সবজি।