প্রতিটি ব্যক্তিই একটি ভাল এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটে থাকার চেষ্টা করে। তবে বর্তমান জীবনযাত্রায় জীবনে সময়ের খুব অভাব। এছাড়া নানান কারণে খুব বেশি বার মানসিক চাপ থাকার ফলে প্রতিটিন সঠিক এবং সুস্থ ডায়েট মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনও উপায়ে কিছু জিনিস পড়ে আমরা ভুল ডায়েট শুরু করি। যার কারণে এর বিরূপ প্রভাবগুলি কিছু দিন পর থেকেই কাজ করতে শুরু করে। আপনার শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী কোনটি হবে সঠিক ডায়েট, তার জন্য পরামর্শ নিন পুষ্টিবিদদের। আজ এমন কিছু বিষয় খাদ্যের বিষয়ে জানাবো যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য কোনও বিষের চেয়ে কম নয়। জেনে নিন সেই তালিকায় আপনার প্রিয় খাবার আছে কি না।
১) ফাস্টফুড- মহামারী আবহে সঠিক ভাবে চিকিৎসা পাওয়াও একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ এই সময়ে অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড কোলেস্টেরল বৃ্দ্ধি, ওজন বৃদ্ধি, বদহজম, পেটের সমস্যার মত জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
২) মিষ্টি- ডায়েট থেকে মিষ্টি জাতীয় খাদ্যগুলি সরিয়ে ফেলাই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। কৃত্রিম চিনি হল বহু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ। গবেষণা অনুসারে, যারা ডায়েট সোডা পান করেন, তাদের ক্ষুধা বেড়ে যায়। যার কারণে এই জাতীয় লোকেরা উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে। ফলে এদের বডি মাস ইনডেক্স (BMI)ও বেড়ে যায়। আপনি যদি সরবত জাতীয় মিষ্টি জল পান করতে চান তবে আপনি ব়্যাস্পবেরি, শসা, পুদিনা বা লেবু জাতীয় খাদ্য যুক্ত করতে পারেন।
৩) রেড ওয়াইন- আজ অবধি কোনও গবেষণা রেড ওয়াইন পান করার কোনও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলেনি। বরং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বেশি পরিমাণে রেড ওয়াইন সেবন করলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ এবং নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। স্বল্প পরিমাণে রেড ওয়াইন পান করা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এর পলিফেনলস নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায় যা আপনার হৃদয়ের পক্ষে খুব ভাল বলে মনে করা হয়।
৪) ফুড সাপ্লিমেন্ট- দেহে ভালো ভাবে কাজ করতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন এবং খনিজের প্রয়োজন। ওষুধ এবং বিভিন্ন পরিপূরকগুলির মাধ্যমে এগুলি পাওয়া খুব সহজ, তবে এগুলি দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহণ করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এগুলির উপর নির্ভর না করে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই ভাল।
৫) কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ না করা- কার্বোহাইড্রেট হল পুষ্টি যা আপনাকে শরীরকে শক্তি যোগান দিতে কাজ করে। এটির পাশাপাশি পেশী এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কাজ করে। অনেকেই আছেন যারা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে দেন। যা স্বাস্থ্যের পক্ষেও মোটেও ভাল নয়। তাই সুস্থ থাকতে ডায়েটে অবশ্যই সীমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রাখা প্রয়োজন।