কেন চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করা প্রয়োজন?

চুল একটুও রুক্ষ হয়ে গেলে কিংবা চুল বেশি পড়লেই তেলের বোতলেই যেন সকল সমাধান পাওয়া যাবে। বিষয়টি কিন্তু আসলে একবারে সঠিক। সুস্থ সুন্দর চুলের জন্য তেল ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।

প্রাকৃতিক দূষণ, কেমিক্যালজাত পণ্যের ব্যবহার, অযত্ন ও অপুষ্টিজনিত হাজারো কারণে চুলের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। চুল পড়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, খুশকির সমস্যা, চুলের আগা ফাটার মতো চুলের প্রধান সমস্যাগুলোর অধিকাংশই দূর করা সম্ভব হয় নিয়মিত তেলের ব্যবহারে।

অনেকেই তেল ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করেন। তেলের ব্যবহার ব্যতীত চুলে অন্যান্য যত প্রকারের যত্ন নেওয়া হোক না কেন, চুল তার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। ফলে তেলের ব্যবহার ব্যতীত পরিপূর্ণ হেয়ার কেয়ারে ঘাটতি থেকেই যায়।

তাই ব্যস্ততা ও অফিস টাইমের মাঝেই সময় করে চুলের পরিচর্যায় তেল ব্যবহার করতে হবে। সময় স্বল্পতার জন্যে রাতে তেল দিয়ে সকালেই চুল ধুয়ে নেওয়া যাবে। এতে সারারাতে চুল তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে যাবে ও চুলের গোড়া শক্ত হবে। জেনে রাখুন নিয়মিত তেল ব্যবহারের এমনই কিছু উপকারিতা।

খুশকির সমস্যা দূর হওয়া
মাথার ত্বকের শুষ্কভাব থেকেই খুশকির সমস্যাটি তৈরি হয়। তেল ব্যবহার না করার ফলেই মূলত মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে। এতে করে সহজেই খুশকির সমস্যাটি বিস্তার করে। যে কারণে নিয়মিত তেলের ব্যবহারে খুশকির সমস্যাটি একেবারেই দূর হয়ে যায়।

ডিপ কন্ডিশনারের কাজ করে
নানাবিধ তেলের মাঝে নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েল চুলে ডিপ কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। চুলকে কোমল, নরম ও মোলায়েম রাখার ফলে চুলে জট কম বাঁধে। এতে করে চুল পড়া ও চুল ছেঁড়ার হার কমে যায়। এছাড়া চুলের কোমলতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে চুল তুলনামূলক শক্ত ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

রোদের আলোতে হওয়া ক্ষতি দূর করে
চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যাটির মূল কারণ হলো রোদের অতি বেগুনী ও ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব। এতে করে চুলের রং জ্বলে যায় অথবা নিস্প্রভ হয়ে যায়। তেলে থাকা ভিটামিন ও অনান্যা পুষ্টি উপাদান চুলের এই ক্ষতির মাত্রাটি কমিয়ে আনতে কাজ করে।

প্রশান্তি আনে মনে
তেলের ব্যবহারে শুধু চুল নয়, উপকারিতার প্রভাব পরে মনের উপরেও। হট অয়েল হেয়ার ম্যাসাজের ফলে মাথার ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এতে করে চুলের উপর ইতিবাচক প্রভাব পরার পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তিও পাওয়া যায়।

RS