ত্বকে চাই আমলকির ছোঁয়া! আমলকির কিছু বিশেষ উপকারিতা সম্পর্কে, জেনেনিন

হুটহাট মাঝ রাতের ক্ষুধাগুলো খুব জ্বালায়।
সারাদিন ভর তেমন একটা ক্ষুধা না পেলেও, মাঝ রাতের পর ক্ষুধাভাব যেন মাত্রা ছাড়ায়। জরুরি কোন কাজে, পরীক্ষার আগের রাতে কিংবা ছুটির দিনগুলোতে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা হয়। দীর্ঘ সময় জেগে থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেখা দেয় ক্ষুধাভাব। অথবা মাঝরাতে হুট করেই ঘুম ভেঙে গেলেও প্রবল ক্ষিদে পায়। আর যাই হোক, ক্ষুধা পেটে নিশ্চয় ঘুমানো যায় না!

স্বাভাবিকভাবেই মাঝরাতে ক্ষুধা পেলে হাতের কাছে কিংবা ফ্রিজে থাকা হাবিজাবি খাবার খাওয়া হয়। এই সকল খাবারে পুষ্টি গুণাগুণ নেই বললেই চলে, কিন্তু ক্যালোরি থাকে প্রচুর পরিমাণে। নিয়মিত মাঝরাতে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে খুব অল্প সময়েই ওজন বেড়ে যাওয়া সহ নানান ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। মাঝরাতের ক্ষুধাভাবকে কীভাবে তাড়ানো যাবে সেটা জানতে পড়ে নিন আজকের ফিচারটি।

ভালোভাবে রাতের খাবার খাওয়া
কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট সমৃদ্ধ ওয়েল ব্যালেন্সড হতে হবে রাতের খাবার। রাতের খাবার যদি ভালোমতো খাওয়া না হয়, তবে মাঝরাতে ক্ষুধা পাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।

আঁশসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
খাদ্য তালিকায় আঁশ সমৃদ্ধ খাবার যোগ করার ফলে পেট ভরা থাকে দীর্ঘসময় পর্যন্ত। শস্য জাতীয় খাবার, মটরশুঁটি, ব্রকলি ও ডাল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঁশ পাওয়া যাবে।

গ্রিন টি পান করা
ঘুমানোর আগে এক কাপ গ্রিন টি শুধু যে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করবে তাই নয়, লম্বা সময় পর্যন্ত পেট ভরা থাকতে কাজ করবে এবং ক্ষুধাভাব দেখা দেওয়া প্রতিরোধ করবে।

প্রচুর জল পান করা
খেয়াল রাখতে হবে শরীরে যেন জলস্বল্পতা দেখা না দেয়। জলর পিপাসা বোধ থেকেও অনেক সময় ক্ষুধা পায়। অন্যদিকে সারারাত যেন জল স্বল্পতায় ভুগতে না হয়, সেজন্যেও ঘুমানোর আগে পরিমাণমতো জল পান করে নিতে হবে।

খাওয়ার পরপরই ঘুম নয়
রাতের খাবার খাওয়ার পর অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েন। এই কাজটি করা যাবে না। রাতের খাবার খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ ঘরের কাজ করতে হবে অথবা এদিকে-ওদিক হাঁটতে হবে।

দই খাওয়া
রাতের খাওয়ার পর ছোট এক বাটি দই খেতে হবে। দইয়ে থাকা উপকারী ও স্বাস্থ্যকর প্রোবায়োটিক পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখবে এবং এতে থাকা প্রোটিন পেট ভরা রাখবে।
নিয়ম মেনেও যদি মাঝরাতে ক্ষুধা লাগে তবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মাঝরাতের ক্ষুধা থেকে বাঁচতে রেফ্রিজারেটরে ফল ও শসা সংরক্ষণ করতে হবে। এতে করে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হবে না।

RSF