মুখ ধোয়ার সময় যে নিয়মগুলো অবশ্যই মেনে চলা প্রয়োজন!

মুখ ধোয়ার মতো এমন প্রাত্যহিক একটি কাজকে খুব সহজ মনে করি আমরা।
আদতে প্রতিদিনের এই কাজটি সহজ হলেও সঠিকভাবে করা না হলে ক্ষতি হতে পারে নিজের মুখের ত্বকেরই! নিয়ম মেনে মুখ না ধুলে শুধু শুষ্কভাবই না, দেখা দিতে পারে ব্রণের উপদ্রব ও বলীরেখাও। খুবই অদ্ভুত হলেও তথ্যটা কিন্তু একেবারে সত্যি!

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসবে, মুখ ধোয়ার সঠিক নিয়ম কী! আজকের ফিচারে চোখ বুলিয়ে জেনে নিন মুখ ধোয়ার সঠিক উপায়। যা আপনার মুখের ত্বককে আক্ষরিক অর্থেই সুরক্ষিত রাখতে কাজে দেবে।

ভুল ক্লিনজার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা
মুখের ত্বকের pH এর মাত্রায় অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় ভুল ক্লিনজার ব্যবহারে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মুখের ত্বকের pH এর মাত্রা হলো ৫.৫pH. এই মাত্রায় ত্বকের উপরিভাগের রক্ষণশীল পাতলা পর্দা যাকে অ্যাসিডের আবরণ (Acid Mantle) বলা হয়, সেটা কার্যকর থাকে। এই পর্দা ত্বককে ক্ষতিকর জীবাণু, টক্সিন, ও ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে রাখে। যে কারণে ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা ও ত্বকের জন্য মানানসই ক্লিনজার ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হাত আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে
মুখ ধোয়ার আগে অবশ্যই হাতের ময়লা-জীবাণু দূর করার জন্য হাত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। নইলে, হাত থেকে জীবাণু সরাসরি মুখে স্থানান্তরিত হয়ে ব্রণের উপদ্রব ঘটাবে।

পরিষ্কার কাপড়ে মুখ শুকাতে হবে
এই নিয়মটা মানা খুবই জরুরি। কারণ মুখ ধোয়ার পর মুখের ত্বক খুব নাজুক অবস্থায় থাকে। কাপড় পরিষ্কার না হলে, সেই কাপড় থেকে জীবাণু খুব দ্রুত মুখে সংক্রমিত হয়ে পড়ে। আরো একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। কাপড়, তোয়ালে কিংবা গামছায় মুখ খুব জোরে মোছা যাবে না। আস্তে আস্তে মুখের উপর চেপে চেপে জল শুকিয়ে নিতে হবে।

কুসুম গরম জলে মুখ ধুতে হবে
ঠাণ্ডা জলে মুখ ধোয়া প্রশান্তিদায়ক হলেও, ত্বকের সুরক্ষার জন্য কুসুম গরম জলে মুখ ধোয়া উচিৎ। অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠাণ্ডা জল ত্বকের জন্য উপকারি নয়। গরম জল ত্বকে থাকা প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। অন্যদিকে ঠাণ্ডা জল ত্বকের রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ করে।

দুইবারের বেশি মুখ ধোয়া যাবে না
অনেকেই হয়তো দিনের ভেতর কয়েকবার করে মুখ ধুয়ে থাকেন। বারংবার মুখ ধোয়ার ফলে ত্বকে থাকা প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেলের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। যা ত্বকে ব্রণের উপদ্রবের সম্ভবনা বৃদ্ধি করে। তাই চব্বিশ ঘন্টা দুইবারের বেশি মুখ না ধোয়াই শ্রেয়। প্রয়োজনে একবার বেশি ধোয়া যেতে পারে।

মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে হেলাফেলা একদম না
সহজ ও কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করে আমরা খুবই হেলাফেলাভাবে মুখ ধুই। কিন্তু একদম সঠিক নিয়ম ও রুটিন মেনেই মুখ ধুতে হবে প্রতিদিন। এক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করলে কখনোই ভালো ফল পাওয়া যাবে না।

RS