আপনি কী জোর গলায় নিজে নিজে কথা বলেন, তাহলে এই খবরটি আপনার জন্য

সচেতনভাবে হোক অথবা অবচেতনভাবে হোক, সারাদিন আমরা বিভিন্ন বিষয়ে মনে মনে নিজের সঙ্গে কথা বলি। যেমন আমার দেরি হতে যাচ্ছে, এ কাজটা আমার মতো দুর্বল লোকের পক্ষে করা সম্ভব না, আমি এ জামাটা পছন্দ করি, আমি কাজটা ঠিক সময়ে করতে পারিনি, এটা খুব সহজ কাজ, বিয়ের বয়স চলে যাচ্ছে, মনের মতো মানুষ পেলাম না, আমার সম্ভবত ক্যানসার হয়েছে অথবা আর কখনো বউয়ের গায়ে হাত তুলব না। কিন্তু এ ধরনের শব্দগুচ্ছ কি কখনো উচ্চস্বরে নিজেকে বলেছেন? আপনার উত্তর হ্যাঁ হলে আপনি বিজ্ঞানের সঠিক পাশে আছেন। ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কার, সাইকোথেরাপিস্ট এবং ফাইন্ডিং ইওর রুবি স্লিপার্স : ট্রান্সফরমেটিভ লাইফ লেসন’স ফ্রম দ্য থেরাপিস্ট’স কাউচের লেখক লিসা ফেরেন্টজ বলেন, ‘গবেষণায় পাওয়া গেছে যে উচ্চস্বরে কিছু ভাবনার প্রকাশ বর্তমান ও ভবিষ্যতকে জয় করতে বা তুলনামূলক ভালো ফল পেতে সাহায্য করে এবং এ চর্চাটি আমাদের সবারই করা উচিত।’

ফেরেন্টজ প্রায়সময় তার গ্রাহকদের মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটাতে অথবা তাদের দৈনন্দিন কাজকে আরো ফলপ্রসূ করতে উচ্চস্বরে নিজের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, ‘নিজের ভাবনা উচ্চস্বরে নিজেকে শুনানো খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ অভ্যাস কোনো কাজের প্রতি ভাবনা, মানসিক অবস্থা ও আচরণের ধরন সম্পর্কে এমন কিছু শুনিয়ে থাকে যা আমরা সাধারণত লক্ষ্য করতে পারি না।’ যদি আমরা নিজেদের কানকে বেশি করে ইতিবাচক বা অণুপ্রেরণামূলক কথা শুনাই, তাহলে উদ্যম ও সফলতার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। মানসিক শক্তি বাড়ানোর একটি ভালো উপায় হলো স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা, নিজের শক্তিশালী দিক ও ইতিবাচক প্রতিজ্ঞা বা দৃষ্টিভঙ্গি লিখে রাখা এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তা উচ্চস্বরে নিজেকে শুনানো। প্রথম প্রথম লজ্জা অনুভূত হতে পারে, কিন্তু হাল ছেড়ে দেবেন না।