শরীরের বাড়তি চর্বির কারণে অনেক সময় ভালো পোশাক পরলেও সুন্দর দেখায় না। এজন্য বুঝে-শুনে পোশাক নির্বাচন করা উচিত। তা না হলে আপনার পুরো লুকটিই নষ্ট হয়ে যাবে।
বিশেষ করে পেটে ভুড়ি থাকলে পোশাক পরার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যিই, পোশাকের কারণে একজন মেদহীন ব্যক্তিকেও মোটা লাগতে পারে আবার মোটা মানুষকেও মেদহীন দেখায়।
এজন্য স্বাস্থ্যবতী হলে ফ্যাশন করার সময় কোন পোশাকগুলো নির্বাচন করবেন জেনে নিন এক পলকে-
>> কোনাকুনি বা লম্বা সরু স্ট্রাইপ ঘরানার পোশাক পরুন। যাদের পেটের কাছে মেদ আছে; তারা কখনো ভার্টিকাল স্ট্রাইপড পোশাক পরবেন না। লম্বালম্বি বা কোনাকুনি স্ট্রাইপ বাছুন। শুধু যে ড্রেস পরলেই স্ট্রাইপড পরতে পারেন তা নয়, স্কার্ট, প্যান্ট, জ্যাকেট সব রকম পোশাকেই লম্বা স্ট্রাইপ পরতে পারেন।
>> লং কামিজ বা কুর্তি পরুন। এ পোশাকগুলো নীচের দিকে চওড়া হয়; তাই ভুঁড়ি খুব সহজেই ঢাকা পড়ে যায়।
>> একটা সময় লো-ওয়েস্ট জিন্স, প্যান্ট আর স্কার্টের চল ছিল। তবে এখন হাই-ওয়েস্ট জিন্স, প্যান্ট আর স্কার্টের চল। এই ডিজানের ড্রেস যাদের ভুঁড়ি আছে; তাদের জন্য খুব ভালো।
>> গাঢ় রঙের পোশাক পড়লে বেশ স্লিম দেখায়। বিশেষ করে নেভি ব্লু বা কালো রঙের একরঙা পোশাক ভালো মানায়। শরীরের বাড়তি মেদ, বিশেষ করে পেটের মেদ লুকোতে কালো রং খুব কাজে দেয়।
>> কোমরের অংশকে স্লিম আর কার্ভি দেখানোর জন্য বেল্ট পড়ুন। একটু চওড়া বেল্ট পরুন।
>> গাউনজাতীয় কুর্তি বা ড্রেস ভুঁড়ি ঢাকার জন্য সবচেয়ে ভালো। যেহেতু এ জাতীয় ড্রেসগুলোর নীচের দিকটা চওড়া এবং ঘেরওয়ালা হয়, তাই খুব সহজেই ভুঁড়ি ঢাকা পড়ে যায়। পারলে গাঢ় রঙের ও ছোট প্রিন্টের ড্রেস পরুন।
>> পোশাকের নিচে এখন অনেকেই শেপওয়্যার পরিধান করে। এতে শরীরের শেপ অনেকটাই সুন্দর দেখায়। এক্ষেত্রে সঠিক শেপওয়্যারটি পরুন ভুঁড়ি লুকাতে।Rs
>> অনেকেই পশ্চিমি পোশাকে খুব একটা স্বচ্ছন্দবোধ করেন না। তারা শাড়িতেই নিজেকে জড়িয়ে নিতে পারেন। যাদের ভুঁড়ি রয়েছে; তারা শিফন, জর্জেট অথবা হালকা কোনো সিল্কের শাড়ি পরুন। বেশ স্লিম দেখাবে।