চুল লম্বা হয় না? জেনেনিন কিছু বিশেষ তথ্য

একটা পর্যায়ে আসার পর চুল আর বাড়তে চায় না। যতই তার যত্ন-আত্তি করা হোক না কেন, যেন প্রতীজ্ঞাই করে নেয় আর বাড়বে না! কিন্তু লম্বা চুলের প্রত্যাশা থাকে অধিকাংশ নারীরই। আপনার সঙ্গেও যদি এমনটা ঘটে তবে কী করণীয়? ঘরোয়া কিছু সমাধান বেছে নেয়া উত্তম হতে পারে এক্ষেত্রে। সেজন্য বাড়তি কোনো খরচের দরকার পড়বে না। ঘরে থাকা নানা উপকরণেই চুলে বৃদ্ধি দ্রুততর করা সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক-

ডিমের প্যাক
সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিম একটি জরুরি খাবার। চুল লম্বা করার জন্য এটি সমান দরকারি। ডিম ও টকদই দিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। সেইসঙ্গে মধু ও তরল দুধ যোগ করলে উপকার মিলবে আরও বেশি। সপ্তাহে অন্তত একবার এই প্যাক ব্যবহার করলে পরিবর্তনটা আপনি নিজেই টের পাবেন। এই প্যাক কেরাটিন প্রোটিনের যোগান দেবে, যাতে চুলের আগা ফাটা কমে আসে এবং চুল সুস্থ ও ঝলমলে হয়ে ওঠে।

আমলকি
ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস হলো আমলকি। চুল বাড়তেও এটি বেশ সহায়তা করে। আমলকি পাউডার মেহেদির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগান। প্রায় ঘণ্টাখানেক রেখে এরপর হালকা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। কুসুম গরম তেলে আমলকি পাউডার মিশিয়ে হট অয়েল ম্যাসাজও করতে পারেন। চুল লম্বা হবে দ্রুত।

অ্যালোভেরা জেল
চুলের জন্য সবচেয়ে উপকারী উপাদানের একটি হলো অ্যালোভেরা জেল। এই উপাদান দিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে পারেন, প্যাকে ব্যবহার করতে পারেন, তেলের সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেলের সাথে অলিভ অয়েল ও মেথি মিশিয়ে নিন। এটি চুলে লাগিয়ে সারারাত রেখে সকালে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। অ্যালোভেরায় আছে এসেনশিয়াল অ্যামিনো এসিড ও মিনারেলস যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং এতে চুলে বৃদ্ধিও দ্রুত করে।

ক্যাস্টর অয়েল
নারিকেল তেলের সাথে ১ চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিলিয়ে চুলের গোঁড়ায় ম্যাসাজ করে নিন সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন। এতে হেয়ার রুটে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, চুল ভেতর থেকে মজবুত হয়ে উঠবে। হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করলে চুলের বৃদ্ধি নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। ক্যাস্টর অয়েলে থাকে ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফ্যাটি এসিড, মিনারেলস যেগুলো চুলে ম্যাজিকের মত কাজ করে। এটি চুলের আগা ফাটা রোধ করে ও নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।