মুখের সৌন্দর্যের দিকে আমাদের যতটা নজর, পায়ের দিকে ততটা থাকে না। অথচ সুন্দর একজোড়া পা আপনার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকগুণ। আমাদের অবহেলার কারণেই ফাটা গোড়ালি, পায়ের ভাঙা নখ, খসখসে পা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই পায়ের প্রতিও নজর দিন। কিছুটা সময় দিন তার প্রতি যত্ন নিতে-
পা নিয়মিত পরিষ্কার করুন: গোসলের সময় ভেজা পায়ে কিছুক্ষণ ফুট স্ক্রাবার ব্যবহার করুন। ভিজে অবস্থায় স্ক্রাব করলে পা থেকে মৃত কোষ তুলে ফেলা সহজ হবে। পা ঘষার সময় ঘরোয়া ফুট স্ক্রাবও ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডা, ব্রাউন সুগার, লবণ, নারিকেল তেল দিয়ে নিজেই বানিয়ে নিন ফুট স্ক্রাব। স্ক্রাবিংয়ের পর পায়ে ভালো করে ক্রিম মেখে নেবেন।
পা ফাটা হলে: পায়ের ত্বক খুব শুষ্ক ও ফাটা হলে রাতে বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। ইচ্ছে করলে স্ক্রাবিংও করে নিতে পারেন। তারপর তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ভালো করে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে নিন। এরপর পাতলা সুতির মোজা পরে এক ঘণ্টা থাকুন যাতে পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলিটা পুরোপুরি শুষে যেতে পারে। প্রতিদিন নিয়মিত করলে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
ছত্রাকের সংক্রমণ ঠেকাতে: বর্ষা মৌসুমে পায়ে পানি-কাদা লেগে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। পা কখনো বেশিক্ষণ ভেজা থাকতে দেবেন না। পা চুলকালে বা র্যাশ বের হলে বাজারচলতি ছত্রাক সংক্রমণ নিরোধী ক্রিম কিনে লাগাতে পারেন। পা ধোয়ার সময় নখের ফাঁক, আঙুলের খাঁজের মতো জায়গাগুলো ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন। মোজা পরার অভ্যেস থাকলে প্রতিদিন পরিষ্কার করে কাচা মোজা পরুন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: রোদের কারণে শুধু আমাদের ত্বকই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের পা-ও। তাই অন্তত ৩০ এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন মাখুন পায়েও। বিশেষ করে যদি পা খোলা জুতা পরেন, তাহলে সানস্ক্রিন বাদ দেবেন না।
কেমন জুতা পরবেন: একই জুতা প্রতিদিন না পরাই ভালো। একই জুতা প্রতিদিন পরলে পায়ের একই জায়গায় একইভাবে রোদ লেগে চামড়া ট্যান হয়ে যায়, ফলে বিশ্রী দেখায়। তাই জুতা পাল্টে পাল্টে পরলে একদিকে যেমন আপনার স্টাইল বাড়বে, তেমনি রক্ষা পাবে ত্বকও!
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না: দীর্ঘক্ষণ একইভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ের উপর জোর পড়ে গোড়ালি ও কাফ মাসলে ব্যথা হতে পারে। তাই মাঝে মাঝে বিরতি নিন। কাজের সূত্রে যদি আপনাকে একটানা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, তাহলে জুতার মধ্যে ইনসোল দিয়ে পরুন।